• Kolkata Municipal Corporation : তেমন হলে বিপদজ্জনক বাড়ি ভাঙবে পুরসভাই
    এই সময় | ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • এই সময় : মালিক না শুনলে কলকাতা পুরসভাই (Kolkata Municipal Corporation) এ বার শহরের বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে দিতে পারবে। এ জন্যে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) সংশোধনী বিল বৃহস্পতিবার বিধানসভায় গৃহীত হলো। নয়া আইনে বলা হয়েছে, বিপজ্জনক বাড়ি চিহ্নিত হলে তা ভেঙে ফেলার জন্যে পুরসভা প্রথমে মালিককে নোটিস দেবে। পরে বাড়িতে 'অতি-বিপজ্জনক' বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হবে। তার পরেও বাড়ি না ভাঙা হলে পুরসভাই তা ভেঙে দেবে। ওই বাড়িতে যাঁরা বসবাস করেন, সে মালিক বা ভাড়াটিয়া--যেই হোন, ওই জমিতে অস্থায়ী ঘর করে বসবাস করতে পারবেন। অন্য জায়গায় চলে গেলে পুরসভা তাঁকে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট দেব। যাতে ওই জমিতে কোনও ডেভলপার বাড়ি করতে চাইলে অকুপেন্সি সার্টিফিকেটধারীদের নিখরচায় ফ্ল্যাট দিতে বাধ্য থাকে। তাঁরা যত বর্গফুট জায়গা নিয়ে বসবাস করতেন, ততটুকুই পাবেন। বাকিটা ডেভলপার বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

    রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী (Firhad Hakim) পরে সাংবাদিকদের বলেন, "উত্তর কলকাতায় বহু পুরনো ও বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। যা ভাড়াটিয়াদের দখলে। বাড়ির মালিক অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল। তাই ভাঙাতেও পারছেন না। খুব কম টাকা ভাড়া। সে জন্যেই এই ব্যবস্থা।" তাঁর সংযোজন, "এই ধরনের বাড়ি ভাঙার পরে সেখানে নতুন নির্মাণ হলে আগে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট হোল্ডারদের জায়গা করে দিতে হবে। তা না হলে পুরসভার ছাড়পত্র মিলবে না।"

    নয়া অইনে কলকাতার সম্পত্তি কর ভ্যালুয়েশন বোর্ডের সুপারিশের নিরিখে ইউনিট এরিয়ার ভিত্তিতে সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট নির্ধারণেও সংস্কার আনা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, "যিনি সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট করবেন না, তাঁর সম্পত্তিকর বছরে পাঁচ শতাংশ হারে বাড়তে থাকবে। সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট হয়ে গেলে পাঁচ শতাংশ হারে দেওয়া বাড়তি টাকার যে অংশ পুরসভা অতিরিক্ত নিয়েছে, তা ফেরত দেওয়া হবে।" মন্ত্রী জানান, এখন থেকে সম্পত্তি করের বিল ডাকে যাবে না। ওয়েবসাইটে দেখে নাগরিকদের কর মেটাতে হবে। সম্পত্তি বিক্রির জন্যে রেজিস্ট্রির সঙ্গে সঙ্গেই মিউটেশন করে দেবে পুরসভা। এ জন্য ক্রেতাকে আলাদা করে মিউটেশনের জন্যে আবেদন করতে হবে না। সম্পত্তি কেনাবেচাটাই ভুয়ো বলে নির্দিষ্ট অভিযোগ উঠলে মিউটেশন বাতিল হবে। এ জন্যে পুর-কমিশনারকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বাড়ির নকশা অনুমোদনে সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেমে আনা হয়েছে। অনলাইনে ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এই অনুমোদন মিলবে।

    নয়া আইনে পুরসভার রাজস্ব বৃদ্ধিতে মেট্রোরেলের বিজ্ঞাপন বাবদ লাইসেন্স ফি পুনরায় চালু করার কথাও বলা হয়েছে। ফিরহাদ বলেন, " (Kolkata Metro) প্রকল্পের জন্যে পুরসভা বিজ্ঞাপনের লাইসেন্স ফি বাবদ বিশেষ ছাড় দিয়েছিল। প্রায় পাঁচশো কোটি টাকা ছাড়ের কথা বলা হয়েছিল। তা পুনরায় চালু করার কথা বলা হয়েছে সংশোনী বিলে।"
  • Link to this news (এই সময়)