• ডানকুনিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়িতে চলছে TMC পার্টি অফিস? সরব বিরোধীরা
    এই সময় | ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • West Bengal News ডানকুনিতে (Dankuni) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) বাড়িতে চলছে তৃণমূল পার্টি অফিস! এমনটাই অভিযোগ BJP-র৷ ঝাড়গ্রাম সফরে মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রামবাসীরা আবাস যোজনার ঘর না পাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। এবার ডানকুনিতে সেই আবাস যোজনার ঘরেই দলীয় কার্যালয় চালানোর অভিযোগ উঠল শাসকদলের (Ruling Party) বিরুদ্ধে৷ BJP-র অভিযোগ, মানুষ থাকার ঘর পাচ্ছে না, আর তৃণমূল পার্টি অফিস (Trinamool Party Office) চলছে সরকারি টাকায় তৈরি ঘরে। প্রকৃত যাদের ঘর পাওয়ার কথা, তারা বঞ্চিত। তৃণমূলের তরফে অবশ্য দাবি, কিছু সময়ের জন্য বাড়িটি নেওয়া হয়েছে, পার্টি অফিস তৈরি হয়ে গেলেই ছেড়ে দেওয়া হবে।

    ডানকুনি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নোনাপুকুরের ধারে বরুণ দাস নামে এক ব্যক্তির একটি আবাস যোজনার বাড়ি রয়েছে। সেই বাড়ি এখন ডানকুনি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কার্যালয়ে পরিণত বলে দাবি। ঘরে তৃণমূলের পার্টি অফিস চলছে বলে দাবি তুলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। স্থানীয় নেতা শ্রীরামপুরের সহ সভাপতি দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, হাউসিং ফর অল কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প। সেই প্রকল্পে যাদের বাড়ি নেই, তাদের জন্য বাড়ি করে দেওয়া হয়। আর ডানকুনি পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডে যার বাড়িতে তৃণমূল অফিস চলছে, তার অন্য জায়গায় বাড়ি আছে। আসলে তৃণমূল আর দুর্নীতি সমার্থক হয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

    তাঁর দাবি, খুঁজলে এমন অনেক বাড়ি পাওয়া যাবে, যেগুলো ভাড়া খাটানো হচ্ছে। SFI এর জেলা সভাপতি অর্ণব দাস বলেন, "এটা নতুন কিছু নয়, এর আগেও দেখা গিয়েছে সরকারি জায়গা দখল করে তৃণমূলের পার্টি অফিস ক্যাম্প চলছে। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে বোমা তৈরির কারখানা সেটাও দেখা গিয়েছে।"

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রকাশ রাহার দাবি, ভেঙে যাওয়ার ফলে অস্থায়ীভাবে বাড়ির মালিক তাঁদের এই কার্যালয়টি চালানোর জন্য অনুমতি দিয়েছেন। এলাকার মানুষকে পরিষেবা দিতে অস্থায়ীভাবে পার্টি অফিসটি চলছে। পুরনো জায়গায় পার্টি অফিস নতুন করে নির্মাণ হলে গেলেই সেখানে চলে যাওয়া হবে। বিরোধীদের কাজ অভিযোগ করা। সেটাই করছে৷ যদিও বাড়ির মালিক বরুন দাস বলেন, "বাড়িটি তৈরি হলেও এখনও জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা হয়নি। তাই সেখানে বসবাস করা যায় না। তৃনমূলকে অস্থায়ীভাবে অফিস করতে দেওয়া হয়েছে। আমি অন্য বাড়িতে থাকি।"
  • Link to this news (এই সময়)