• ২০ বছরের দাম্পত্যের কাঁটা সরিয়ে সংসার জুড়লেন বিচারক, ফের এক হল চার হাত
    এই সময় | ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • ভাঙা সংসার (Broken Family) জোড়া লাগালেন বিচারক (Judge)! বৃহস্পতিবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন ঝাড়গ্রাম জেলা আদালত (Jhargram District Court) চত্বর। এদিন ফের চার হাত এক হয়ে বাড়ি ফিরলেন স্বামী-স্ত্রী। একে অপরকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করার প্রতিশ্রুতিও দিলেন বিচারকের সামনে। জানা গিয়েছে, পারিবারিক সমস্যায় ভাঙতে বসেছিল একটি সংসার৷ বিচারকের উদ্যোগে তা ফের জোড়া লাগল৷ দুই সন্তান সহ খুশি পরিবারের সদস্যরাও৷

    জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম থানার (Jhargram Police Station) অন্তর্গত বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইচ্ছামতীর সঙ্গে ২০ বছর আগে বিয়ে হয় বিনপুর থানার (Binpur Police Station) অন্তর্গত আমলাতোড়া গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ সহিসের। তাঁদের দুই পুত্র সন্তানও রয়েছে। গত পয়লা নভেম্বর স্ত্রী ইচ্ছামতী সহিস স্বামীর বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম জেলায় আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। শ্বশুরবাড়িতে মারধর করার জন্য তিন মাস আগে বাপের বাড়িতে চলে আসেন ইচ্ছামতী। অভিযোগের ভিত্তিতে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ প্রি-লিটিগেশন মামলা (Pre-Litigation Cases) রুজু করে। তারপর উভয়পক্ষকে নোটিশ করে বৃহস্পতিবার ডেকে পাঠানো হয় আদালতে।

    ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুনীলকুমার শর্মা স্বামী-স্ত্রীর উভয়ের বক্তব্য শুনে তাঁদের সমস্যা মিটিয়ে দেন। এমনকি দু’জনেই একসঙ্গে ঘর-সংসার করার ব্যাপারে বিচারকের সামনে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হন৷ তারপর দৈনিক লোক আদালতের মাধ্যমে মামলাটির নিষ্পত্তি করা হয়। আদালতে ফের চার হাত এক হওয়ার পর কি বলছেন স্ত্রী ইচ্ছামতী সহিস এবং স্বামী সন্তোষ সহিস? স্বামী সন্তোষ সহিদ বলেন, ‘‘যে সমস্যা হয়েছিল আজ তার সমাধান হল৷ আমি এবার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরব৷’’ কোনও টাকার বিনিময়ে নয়, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই পরিষেবা পেয়েছেন বলে দাবি করেন সন্তোষবাবুর স্ত্রী ইচ্ছামতী সহিস৷ তাঁরা পুনরায় সংসার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন একে অপরকে৷ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য সমস্যা মিটে গিয়ে আবারও তাঁরা একসঙ্গে সংসার করবে বলে বেজায় খুশি দম্পতি৷

    আগামী দিনে তাঁরা দু’জনে শুধু একসঙ্গে থাকাই নয়, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার প্রতিশ্রুতি করেন৷ স্বামীও স্ত্রীকে ফের মারধর না করার দাবি করেন৷ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলা সমস্যার নিষ্পত্তি হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস দুই পরিবারেও৷ তাঁরা চান, তাঁদের ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে সুখে-শান্তিতে ঘর করুক৷ ২০ বছরের দাম্পত্য ফের জোড়া লাগায় খুশি এলাকাবাসীও৷ এদিন ঝাড়গ্রাম জেলা আদালত চত্বরে তিন মাসের ভেঙে যাওয়া সংসার জোড়া লাগান বিচারক। ফের চার হাত এক হয়ে বাড়ি ফেরেন স্বামী-স্ত্রী। একে অপরকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করার প্রতিশ্রুতিও দেন৷
  • Link to this news (এই সময়)