সেনেগালের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে ২–০ গোলে জিতলেও হল্যান্ডের খেলায় দারুণ কোনও চমক দেখা যায়নি।
বরং বলা যেতে পারে কার্যকরী ফুটবল খেলে জয় এসেছে। বিশ্বকাপে ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, স্পেন যেভাবে শুরু করেছে, সে তুলনায় খুবই সাধারণ মানের লেগেছে লুই ভ্যান গালের দলকে। তাই ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে ভাল ফল করতে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বাড়তি ঘাম ঝরাতে হবে হল্যান্ডকে দ্বিতীয় ম্যাচে। কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত করতে। কোচ ভ্যান গাল নিজের দলের খেলায় পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন বলেই ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে খেলায় কৌশলে কিছুটা বদল আনতে চলেছেন, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। ৩–৪–১–২ ছকে প্রথম একাদশে মেমফিস ডেপায়কে খেলতে দেখার সম্ভাবনা বেশি। সেক্ষেত্রে ভিনসেন্ট জ্যানসেনকে বসতে হবে রিজার্ভ বেঞ্চে। গোলের নীচে আন্দ্রে নোপার্টের খেলা নিশ্চিত। তিন ব্যাকে জুরিয়েন টিমবার, ভার্জিল ভ্যান ডাইক, নাথান আকেকে রক্ষণে বাড়তি ভরসা জোগাতে হবে ইকুয়েডরের আক্রমণ সামলে শেষ ১৬–য় জায়গা পাওয়া নিশ্চিত করতে।
তবে দলের ওপর চাপ কমাতে দারুণ মেজাজে আছেন ভ্যান গাল। এদিন ইকুয়েডর ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর আচরণে প্রচারমাধ্যম অভিভূত। এক বিদেশি সাংবাদিক মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বলেন, ‘আপনাকে আমার কোনও প্রশ্ন নেই। শুধু জানাতে চাই, আমি আপনার বড় ভক্ত।’ এটা শোনার পর সাংবাদিক সম্মেলন শেষে ভ্যান গাল মঞ্চ ছেড়ে নেমে আসেন। পৌঁছে যান সেই সাংবাদিকের কাছে। বুকে জড়িয়ে ধরেন। যা মন ছুঁয়ে গেছে উপস্থিত সবার।
ভ্যান গাল অবশ্য শুধু ম্যাচেই মনঃসংযোগ করছেন। তিনি অন্যান্য ইওরোপিয়ান দলের মতো ওয়ান–লাভ আর্মব্যান্ড বিতর্ক ইস্যুতে মাথা ঘামাতে নারাজ। জানালেন, তাঁর ও দলের ফুটবলারদের লক্ষ্য নকআউটে ওঠা।