• বল্লাল সেনের ঢিপি ঘুরে দেখল মায়াপুর পূর্ব মোল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা
    বর্তমান | ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • সমীর সাহা, নবদ্বীপ: শিশু মনে ইতিহাসকে গেঁথে দেওয়ায় লক্ষ্য। আর এটা সবচেয়ে ভালো করা যায়, সেই ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের মাধ্যমে। পড়ুয়াদের জন্য সেই ব্যবস্থাই করলেন মায়াপুর পূর্ব মোল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। স্কুলের কাছেই ঐতিহাসিক স্থান বল্লাল সেনের ঢিপি পড়ুয়াদের দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবদ্বীপ উত্তর চক্রের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭৪ জন ছাত্রছাত্রী শিক্ষামূলক ভ্রমণে অংশ নেয়। ওই স্থানের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিদ্যালয়ের ছ’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপ উত্তর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক জানবাজ শেখ। এই মায়াপুরেরই বামুনপুকুরে রয়েছে চাঁদকাজির সমাধিক্ষেত্র। সেই সব স্থান চিনে ও বুঝে নেওয়াই ছোট্ট পড়ুয়াদের লক্ষ্য ছিল।

    মায়াপুর-বামনপুকুর-১ পঞ্চায়েতের পূর্ব মোল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চাতেও সুনাম অর্জন করেছে। ২০১৪ সালে নদীয়া জেলায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার পায়। ২০২২ সালে নদীয়া জেলার তরফে ‘স্বচ্ছ বিদ্যালয় পুরস্কার’-এর স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়া মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নবদ্বীপ উত্তর চক্রের আয়োজিত নাটক প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার লাভ করে। এবছর নবদ্বীপ বিডিও অফিসে রাজ্য সরকারের ‘উন্নয়নের ১১ বছর’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল এই প্রাথমিক বিদ্যালয়। নজর রাখা হয় স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকেও। করোনা ভাইরাস, ডেঙ্গু, প্লাস্টিক বর্জন সহ বিভিন্ন সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ে ‘হাম ও রুবেলা টিকাকরণ অভিযান’ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

    ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিরণ শেখ। এরপর থেকেই বাংলা মাধ্যমের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেড়ে চলেছে ছাত্র সংখ্যা। হিরণ সাহেব বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি আধুনিক প্রজেক্টরের অডিও ভিজুয়াল মাধ্যমে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার ছাত্রছাত্রীরা সকলে মিলে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে। পাশাপাশি ইট কাঠের ক্লাসরুমের মাঝে প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বিদ্যালয়ে রং-বেরঙের ফুলগাছ, ক্যাকটাস গাছ ও ফলের গাছ লাগানো হয়েছে। স্কুলের দেওয়ালে ছোটা ভীম, ছুটকি, রাজুদের দেখতে পাওয়া যাবে। আগামী বছরের শুরুতেই যাতে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও স্পোকেন ইংলিশ শেখানো যায়, সেই চেষ্টা চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)