• ‘‌কী করে এদেরকে হারাতে হয় আমি জানি’, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বার্তা শুভেন্দুর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। কারণ একটি নির্বাচনেও তারা তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে এবার আগে থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার যাতে টাকা না পায় তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে একাধিক চিঠি লিখেছেন। তারপরও আটকানো যায়নি রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ। এবার তিনি স্ট্র‌্যাটেজি তৈরি করছেন হারানোর।

    ঠিক কী বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু?‌ দলীয় কর্মীদের তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য এখনই প্রস্তুত হতে বলেছেন। এদিন তিনি বলেন, ‘‌কী করে এদেরকে হারাতে হয় আমি জানি। আমি যেভাবে কোম্পানির মালিককে হারিয়েছি, আপনারাও পারবেন। প্রতি বুথে আমার ৫০টা লোক দরকার। ৩০ জন যুবক এবং ২০ জন মহিলা। মহিলারা হবেন মা ভবানী আর পুরুষরা হবেন স্বামী বিবেকানন্দর শিষ্য। বুথগুলি এখনই রেডি করুন।’‌

    পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস কী বলছে?‌ তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাবার কথার প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা দেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‌নন্দীগ্রাম কেন, পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে শুভেন্দু অধিকারীর ধস চলছে। লোক চলে যাচ্ছে। আদি বিজেপিরা ওঁকে মানে না। সিবিআই–ইডি থেকে বাঁচতেই আমাদের উপর ছরি ঘোরাচ্ছে। ওঁকে কেউ মানছে না। হীনমন্যতায় ভুগছে। বুথে লোক চাই। কর্মী তো ওদের নেই। লোক দরকারের কথা বললে কুমোরটুলিতে অর্ডার দিক।’‌

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার নিয়ে যখন রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় পরস্পরের মন্তব্য নিয়ে তখন পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হলেন নওশাদ সিদ্দিকি। ভাঙড়ের কর্মিসভা থেকে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে নওশাদ বলেন, ‘ট্রান্সফার নিয়ে যেখানেই চলে যান না কেন, একদিন ভাঙড়েই ফিরিয়ে আনব। তখন ট্রাফিক পুলিশের কাজ করতে হবে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে সারাদিন গাড়ি লক্ষ্য করে হাত দেখাবেন’।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)