• Mamata Banerjee Suvendu Adhikari : সংঘাতে মধ্যে সৌজন্য, মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বিধানসভায় মমতার ঘরে শুভেন্দু
    এই সময় | ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কক্ষে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকার করেন শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পল, অশোক লাহিড়ী এবং মনোজ টিজ্ঞা। তবে অত্যন্ত অল্প সময়ের জন্যই সাক্ষাৎ করেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরই অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন শুভেন্দু অধিকারী। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হননি তিনি। তৃণমূল ত্যাগের পর সেভাবে এবং মুখোমুখি হননি। একাধিক সময় একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তাঁরা। একাধিক রাজনৈতিক সভা থেকে চাঁচাছোলা ভাষায় একে অপরকে আক্রমণ করতে শোনা গিয়েছে তাঁদের। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মমতা-শুভেন্দু ‘সৌজন্য সাক্ষাৎকার’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের পর্যবেক্ষণ, “রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন, সৌজন্য বিনিময় করবেন, এই বিষয়টি অত্যন্ত স্বাভাবিক।” কিন্তু, শুক্রবারও অধিবেশনের রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন । এদিকে এদিনই তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’-য় তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে তাঁদের সাক্ষাৎকার এবং সৌজন্য বিনিময় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    সম্প্রতি রাজ্যপালের শপথগ্রহণে আসন বরাদ্দ নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন । তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, " শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। বিভাগীয় মন্ত্রী নির্দেশেই উক্ত অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের বসার স্থান নির্ণয় করা হয়েছে।বিরোধী দলনেতার বসার আসন নির্দিষ্ট করা হয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাসের পাশে। এই দুজনেরই বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিধায়ক পদ খারিজের শুনানি চলছে...এটা আর কিছু নয়, অভদ্র ও নিকৃষ্টতম রাজনীতির একটা বড় নিদর্শন।" শুভেন্দু অধিকারীর পালটা সুর চড়িয়েছিলেন কুণাল ঘোষও।

    এই রাজনৈতিক তরজার মধ্যেই শুভেন্দু-মমতা সাক্ষাৎকার। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধী দলকে ডাকি।” এদিন শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিরোধী দলনেতা কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। আমি ভাইয়ের মতো স্নেহ করতাম। ওর প্রশ্নের জবাব দেব। " শিশির অধিকারীকেও সম্মান করেন বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ১৯ ডিসেম্বর বিজেপি -তে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে BJP প্রার্থী হন তিনি এবং জয়ীও হয়েছিলেন।
  • Link to this news (এই সময়)