• Pakistan New Army Chief: ‘তোমারে বধিবে যে …’, দিন গোনা শুরু নয়া পাক সেনাপ্রধানের
    এই সময় | ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • পুলওয়ামা হামলার মাস্টার-মাইন্ডই এবার হতে চলেছেন পাক সেনার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। এহেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মুনিরের নাম পরবর্তী সেনাপ্রধান হিসেবে ইসলামাবাদ ঘোষণা করতেই শুরু হয়েছে আলোচনা। পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-র প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুনির সেনাপ্রধান হলে ফের কি রক্তে লাল হবে কাশ্মীর? উপত্যকায় বাড়বে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা? যা ছড়িয়ে পড়বে মুম্বই-আহমেদাবাদ বা রাজধানী দিল্লির মতো শহরেও? প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই সুযোগ খুব বেশি পাবেন না তিনি। কারণ একদিকে ইমরান কাঁটা আর অন্যদিকে তালিবানি হামলা — এই দুই সাঁড়াশি আক্রমণ সহ্য করতে হবে তাঁকে। তাছাড়া উরি ও পুলওয়ামার পর যে ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারত প্রত্যাঘাত করেছে তা পাকিস্তানের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। নতুন করে বড় ধরনের সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়ে যুদ্ধ ডেকে আনার মতো নির্বুদ্ধিতা তিনি করবেন না বলেই দাবি করেছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

    বর্তমানে রাওয়ালপিণ্ডিতে পাক সেনার সদর দফতরে কর্মরত রয়েছেন । দু’বছর গুজরানওয়ালায় XXX Corps-র কমান্ডারও ছিলেন তিনি। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, তিনি যে সেনাপ্রধান হতে পারেন তা আগে থেকে আঁচ করেছিল নয়াদিল্লি। এই নিয়ে ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার দেবাশিস দাস বলেন, “কোর কমান্ডারদের খোঁজ দীর্ঘদিন ধরেই রাখা হয়। সাধারণত এদের মধ্যে থেকেই কেউ একজন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুনিরের ট্র্যাক রেকর্ড ভাল। তবে নতুন পাক সেনাপ্রধানকে নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।” সম্প্রতি কাছে ‘শত্রু নাশ’ নামে সামরিক মহড়া চালিয়েছে ভারতীয় ফৌজ। সেখানে স্থলবাহিনীর পাশাপাশি অংশ নিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনাও। ওই মহড়াতে হাজার কেজির বোমা ফেলার অনুশীলনও চালানো হয়েছিল। শুক্রবার সেই কথার উল্লেখ করে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা ব্রিগেডিয়ার দেবাশিস দাস বলেন, “এর মাধ্যমে পাকিস্তানকে বার্তা দিয়ে রেখেছি আমরা। ইসলামাবাদকে নিয়ে এখন আর চিন্তা করার কিছু নেই। চিনকেই প্রধন শত্রু বলে মনে করি আমরা।” সেই মতো সামরিক বাহিনীকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্বভার নেওয়ার পর আফগান সীমান্ত নিয়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুনিরকে। আফগানিস্তানে তালিবান সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই ডুরান্ড লাইন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত চলছে। ডুরান্ড লাইনকে সীমান্ত হিসেবে মানতে নারাজ তালিবান সরকার। সম্প্রতি ওই সীমান্তে হামলা চালিয়ে পাক সেনার একটি বাঙ্কার উড়িয়ে দেওয়ার খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। “আফগানদের হাতেই শেষ হবে পাকিস্তান। দিন গোনা শুরু হয়ে গিয়েছে।” জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা ব্রিগেডিয়ার দেবাশিস দাস।

    এছাড়া আরও একটি সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে মুনিরকে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই মুহূর্তে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি কোনও ভাবে ক্ষমতায় ফিরলে সেনাপ্রধানের পদও হারাতে হতে পারে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুনিরকে। ইমরান ক্ষমতায় থাকাকালীন ঠিক যেভাবে ISI-র DG পদ হারাতে হয়েছিল তাঁকে।
  • Link to this news (এই সময়)