• শনিবারের বিশেষ পুজোয় বসবেন 'দাদা', দৌড়ে ফুল-লাড্ডু দিয়ে গেলেন অনুব্রতর অনুগামী
    এই সময় | ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • শ্রীঘরে হোক বা বাইরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দাপটে চিড় ধরেনি। কালীভক্ত তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার ঠাকুর-দেবতায় রয়েছে বিশেষ ভক্তি। বাড়িতে নিত্য পুজোর সঙ্গে সঙ্গে তিথি-লগ্নে কংকালী তলা-তারাপীঠেও বিশেষ পুজোর আয়োজন করতে দেখা গিয়েছে। প্রায় মাস তিনেক ঠিকানা সংশোধনাগার হলেও পুজোর্চ্চনার অভ্যেসে ছেদ পড়েনি কেষ্টর। তাই এদিন প্রিয় 'দাদা'-এর পুজোর সামগ্রী যোগান দিতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি, ব্যস্ত ভক্ত।

    সংশোধনাগারে পুজো করবেন অনুব্রত মণ্ডল আর সেই কারণেই তার জন্য ফুল এবং লাড্ডু নিয়ে এলেন এক সমর্থক। বরাকরের বাসিন্দা সুখেশ শর্মা নেতা অনুব্রত মণ্ডলের জন্য তড়িঘড়ি নিয়ে হাজির হলেন ফুল ও লাড্ডু। তিনিই আদালত কক্ষের বাইরে বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের হাতে সেই সামগ্রী পৌঁছেও দেন তিনি।

    এদিন আসানসোল আদালতে তোলা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। তাঁর জেল হেফাজতের মেয়াদের এদিন শেষ দিন হওয়ায় আদালতে পেশ করা হয় গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের শুনানি ছিল আসানসোল সিবিআই আদালতে। কোনও জামিনের আবেদন করা হয়নি এদিন সেই কারণে স্বল্প শুনানির পরেই বিচারক তাকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    জানা গিয়েছে, এদিন এজলাসে শুনানি চলাকালীন বাকি জেলা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত অনুগামী (TMC Leader Anubrata Mondal Followers ) সুকেশ শর্মা। তাঁর দাবি, আদালত কক্ষের বাইরে 'দাদা'র সঙ্গে কথা হওয়ার পর উনি আমাকে পুজোর জন্য ফুল ও লাড্ডু আনতে বলেন। প্রিয় নেতার মুখ থেকে কথা খসা মাত্র বাজারে দৌড়ন সুকেশ। ফুল-লাড্ডুর দাম হয় ৩০০ টাকা। সুকেশ জানিয়েছেন, তাঁর কাছে অত টাকা না থাকায় জেলা তৃণমূল নেতা সেই দাম মিটিয়ে লাড্ডু ও ফুল তুলে দেন তাঁর হাতে। সুখেশ শর্মা নিজে সেই হাতে সেই ফুল পৌঁছে দেন অনুব্রত মণ্ডলের কাছে।

    মনে করা হচ্ছে শনিবার দিন অনুব্রত মন্ডল বিশেষ পূজা করবেন জেলের মধ্যে। সেই কারণেই এই ফুল এবং লাড্ডু নিয়ে আসার কথা হয়েছে। সুখের শর্মা জানান, ভোটের সময় মিটিং চলাকালীন তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তাঁর দাবি, "দাদা নির্দোষ তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আজ নয় কাল সবাই জেনে যাবে আসল ঘটনা। তবে দাদার শরীর খারাপ সেই নিয়ে আমরা খুব চিন্তিত আছি।"

    বীরভূমের জেলা সভাধিপতি মলয় মুখোপাধ্যায় এদিন এসেছিলেন প্রিয়নেতার সঙ্গে দেখা করতে। তার সঙ্গে ছিলেন বীরভূমের আরও বেশ কয়েকজন নেতা। তারা এজলাসের ভেতরেই শুনানির পর অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে দলীয় প্রয়োজনীয় কথাবার্তা সেরে নেন। অনুব্রত মণ্ডল জানান সবাইকে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে হবে। পাশাপাশি মিঠুন চক্রবর্তী বীরভূম জেলায় যেখানে যেখানে সভা করেছেন তার পাল্টা সভা করার নির্দেশ দেন দলের নেতাদের।
  • Link to this news (এই সময়)