• বন্ধের মুখে গোবিন্দভোগ-আতপ চালের রফতানি! চিন্তায় বর্ধমানের চাষিরা
    এই সময় | ২৫ নভেম্বর ২০২২
  • Gobindobhog Atap rice: গোবিন্দভোগ ও আতপ চালের উপর ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক (excise duty on rice) বসিয়েছে কেন্দ্র। এক ধাক্কায় খরচ অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাপক ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে রাজ্যের শস্যগোলা হিসেবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান। রাজ্য রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, রফতানি শুল্ক বেড়ে যাওয়ার কারণে সমস্যার মধ্যে পড়েছেন আতপ ও গোবিন্দভোগ চাল (gobindobhog chawal) উৎপাদনকারী রাইস মিল মালিকরা (rice mill plant)। রফতানি শুল্ক বেড়ে যাওয়ার কারণে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরাও। চাষিদের দাবি, শুল্ক বৃদ্ধির কারণে রাইসমিলগুলো একদিকে যেমন চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে, তেমনই আর কয়েকদিনের মধ্যে নতুন ধান উঠতে শুরু করলে দাম আরও কমে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আদৌ ধানের উপযুক্ত দাম পাওয়া যাবে কি না, সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে চাষিদের।

    সম্প্রতি গোবিন্দভোগ চালের রফতানি শুল্ক মকুবের দাবি জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM ) চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (), এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক। বাসমতি চালের ওপর কোনও রফতানি শুল্ক নেই। চালকল মালিক সংগঠনের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী বাসমতি চালের মতো গোবিন্দভোগের ওপর থেকেও শুল্ক তুলে নেওয়ার দাবি করেছেন। আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, ইউরোপ, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কুয়েত, কাতার, ওমান, বাহরাইনের মতো দেশ গোবিন্দভোগ চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এক ধাক্কায় আতপ ও গোবিন্দভোগ চালের ওপর ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক বসানোর পর আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা করতে গিয়ে বিস্তর আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে চালকল মালিকদের। দামের তারতম্যের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের পরিবর্তে অন্য একটি দেশ জায়গা করে নিচ্ছে। সেই কারণে রাইস মিল মালিকদের ব্যবসায়িক ক্ষতির পাশাপাশি রাজ্যের চাষিদের উপার্জনেও প্রভাব পড়ছে।

    আব্দুল মালেক বলেন, "প্রতি মাসে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ চাল বিদেশে রফতানি করা হত। রফতানি শুল্ক বসানোর পর আর্ন্তজাতিক বাজারে ভারতে উৎপাদিত গোবিন্দভোগ ও আতপ চালের দাম বেড়ে যে জায়গায় দাঁড়াচ্ছে, তাতে গুনগতমান ভালো হওয়া সত্বেও অন্যান্য উৎপাদনকারী দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠতে পারছে না। আমরা চাই অবিলম্বে এই রফতানি শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক।

    চাল রফতানির ওপর কেন্দ্র বসানো শুল্ক নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের রাজ্য সমন্বয় কমিটির মুখপাত্র দেবু টুডু এই প্রসঙ্গে বলেন, "BJP বাংলা দখল করতে এসেছিল, কিন্তু পারেনি বলেই বাংলার ব্যবসায়ীদের সমস্যায় ফেলে পুঁজিপতিদের রাস্তা পরিষ্কার করতে চাইছে। বাংলার মানুষকে এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আবেদন করব।" পালটা BJP বর্ধমান জেলা কমিটির মুখপাত্র সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, "তৃণমূলের কাজই হলো কেন্দ্রের বিরোধিতা করা। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন, আশাকরি প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন।"
  • Link to this news (এই সময়)