এ প্রসঙ্গে শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এ বিষয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে জবাব চেয়ে পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র সরকারকে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ‘স্পেশাল ম্যারেজ আইনে’র আওতায় সমলিঙ্গের বিবাহের আইনি স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এক সমপ্রেমী যুগল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সমকামিতা নিয়ে যুগান্তকারী রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ভারতে সমকামিতা অপরাধ নয়— শীর্ষ আদালতের এই রায়ে ‘এলজিবিটিকিউ’ সম্প্রদায়ের মানুষদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হয়েছিল। এই রায়ের পর এ দেশে সমপ্রেমী মানুষরা অনেকটাই ‘স্বাধীন’ হয়েছেন বলে মনে করেন অনেকে। এমনকি, এ নিয়ে সমাজে ভ্রান্ত ধারণাও অনেকটা দূর হয়েছে বলে মনে করেন কেউ কেউ। আবার তথাকথিত সমাজে সমপ্রেমীদের গ্রহণযোগ্যতাও অনেকটা বেড়েছে।
২০১৮ সালের ওই রায়ের পরই এ দেশে সমলিঙ্গের বিবাহের আইনি স্বীকৃতির দাবি আরও জোরালো হয়। এমনকি, দেশের শীর্ষ আদালতের ঐতিহাসিক রায়ের পর দেশে সমপ্রেমের বিবাহও হয়েছে। কলকাতা, হায়দরাবাদ-সহ দেশের নানা শহরে সমপ্রেমের বিবাহের খবর শিরোনামে এসেছে।