‘অবৈধ’ নিয়োগের অভিযোগের ভিত্তিতে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে কমিশনের পক্ষ থেকে গত সেপ্টেম্বরে পুনর্বহালের আবেদন করা হয়েছিল উচ্চ আদালতে। যার প্রেক্ষিতে কমিশনের কড়া সমালোচনা করেছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের জন্য অন্য কাজের ব্যবস্থা করা হোক। তবে শিক্ষকতার কাজ নয়। কারণ, তা হলে যোগ্যরাই চাকরি পাবেন না। এর পরেই আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে তারা জানায়, ত্রুটি বুঝতে পেরেই ওই আবেদন প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। স্কুল শিক্ষা সচিবকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। একক বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। সেই আবেদন ফিরিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর যে, কমিশন কী ভাবে অবৈধদের চাকরি দেওয়ার এ রকম একটা আবেদন করল? কী ভাবে অতিরিক্ত শূন্যপদ অযোগ্য প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করানোর কথা ভাবা হল?’’ এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।