• ফের আক্রান্ত হতে পারেন ইমরান! অপরাধীরা হত্যার ছক কষছে, অভিযোগ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর
    ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস | ২৭ নভেম্বর ২০২২
  • ফের আক্রান্ত হতে পারেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার তিনি নিজেই এমন আশঙ্কা প্রকাশ করলেন। রাওয়ালপিন্ডির জনসভায় ইমরান অভিযোগ করেছেন, তিন জন অপরাধী তাঁকে হত্যার ছক কষছে। পাকিস্তান সেনার সদর কার্যালয় রয়েছে এই রাওয়ালপিন্ডিতে। পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর বরাবরই একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ইমরান এর আগে জানিয়েছিলেন, সেনাবাহিনীর এক শীর্ষকর্তা তাঁকে হত্যার ছক কষছে। এবার পাকিস্তান সেনার প্রধান কার্যালয় যেখানে, সেই শহরে দাঁড়িয়ে ইমরান কার্যত তাঁর অভিযোগেরই পুনরাবৃত্তি করলেন।

    তিনি জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে তাঁকে যখন নিশানা করা হয়, সেই সময়ই তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। দুষ্কৃতীরা তাঁর পা নয়, মাথা ও বুক লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। যার জেরে তিনি প্রায় মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। সভায় ইমরান অভিযোগ করেন যে, ওই তিন অপরাধী আগেরবার ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে নতুন করে হত্যার ছক কষছে। তাঁর দৃষ্টিতে এই তিন অপরাধী কারা, শনিবার সেই সব নামও প্রকাশ্যে এনেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। ৭০ বছর বয়সি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের এই শীর্ষনেতার অভিযোগ অনুযায়ী, অপরাধীদের একজন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। দ্বিতীয়জন হলেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। আর, তৃতীয় অপরাধী হলেন পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্সির প্রধান মেজর জেনারেল ফয়জল নাসির।

    ইমরানের অভিযোগ, এই তিন জনই আগেরবার তাঁকে হত্যার ছক কষেছিল। সভায় বারবার এই তিন জনের বিরুদ্ধে তাঁকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ জানান ইমরান। তিনি সভায় দলের সমর্থকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যে আনন্দের সঙ্গে বাঁচা উচিত। খোলা মনে বাঁচা উচিত। আর, সেটা করতে গেলে, আগে মৃত্যুভয় ছাড়তে হবে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের সদস্য ও সমর্থকদের। ইমরানের কথায়, ‘ভয় একটা গোটা দেশকে দাসে পরিণত করে।’ সভায় তিনি পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি বোঝাতে গিয়ে ইরাকের কারবালার কথা টেনে আনেন। বোঝানোর চেষ্টা করেন, হজরত মহম্মদের নাতি ইমাম হোসেন তৎকালীন অত্যাচারী শাসকের কাজকর্মের প্রতিবাদ করেছিলেন। সেই জন্য তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

    গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর ইমরান অবশ্য গাড়িতে চলাফেরা বন্ধ করে দিয়েছেন। শনিবার তিনি হেলিকপ্টারে চেপে রাওয়ালপিন্ডির সভায় পৌঁছন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন একদল চিকিৎসক। ইমরান জানান, তিনি যখন লাহোর থেকে রাওয়ালপিন্ডির দিকে শনিবার রওনা দেন, তখন ঘনিষ্ঠরা সকলেই তাঁকে আসতে মানা করেছিলেন। কারণ, একনম্বর তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। দ্বিতীয় ব্যাপার হল, তাঁর পায়ে চোট রয়েছে। কিন্তু, তিনি ঘনিষ্ঠদের বারণ শোনেননি। কেন, সেই কারণও জানিয়েছেন ইমরান। সদস্য-সমর্থকদের তিনি বলেন, ‘জীবনে বাঁচতে হলে মৃত্যুভয় ছাড়ুন।’
  • Link to this news (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)