• 'এটা কোনও চাকরি না...!' পঞ্চায়েতে টিকিট প্রসঙ্গে মন্তব্য শাসক বিধায়কের
    এই সময় | ২৭ নভেম্বর ২০২২
  • Cooch Behar District: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। ভোট এগিয়ে আসতেই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে গোষ্ঠীকোন্দল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের () মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া (MLA Jagadish Basunia)। দিনহাটার বড় আটিয়াবাড়িতে দলীয় সভায় কোচবিহার জেলার কর্মী সমর্থকদের একাংশের উদ্দেশে জগদীশ বলেন, "পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ানোর এত শখ কিসের? পঞ্চায়েত কি কোনও চাকরি নাকি! এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল তাদেরই প্রার্থী করবে গ্রামের মানুষের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। গ্রামের মানুষ যাদের বিপদে আপদে পাবে, তাঁরাই প্রার্থী হবেন। এবারে নির্বাচনে সাধারণ মানুষ প্রার্থী ঠিক করবেন, মঞ্চ বসে থাকা নেতারা নয়।" প্রকাশ্য সভায় সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্য সেখানে থাকা দলীয় নেতৃত্বের একাংশের চোখেমুখে অস্বস্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি BJP-কে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তৃণমূল বিধায়ক। BJP নেতৃত্বের একাংশের তরফে পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের যে দাবি উঠছে, তা নিয়ে চড়া সুর ছিল বিধায়কের গলায়। জগদীশ বসুনিয়া বলেন, "করোনার সময় BJP-কে দেখা যায়নি। সাধারণ মানুষের পাশে তারা দাঁড়ায়নি। ভোট এগিয়ে আসতে তাদের দেখা মিলেছে। বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে BJP। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।"

    বিভিন্ন উন্নয়নমুখী প্রকল্প গুলির কথা তুলে ধরে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন জগদীশ। তিনি বলেন, "তৃণমূল প্রার্থীদের জিতিয়ে BJP-কে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। সিতাইয়ের মাটিতে জোড়াফুল চাষ হয়, পদ্মফুলের কোনও জায়গা নেই। এখানে পদ্মফুল শুকিয়ে যায়। তাই রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলির সুবিধা যদি পেতে চান, তবে তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে।"

    উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা কোচবিহার জেলার মধ্যে সিতাই বিধানসভা সবথেকে বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। নির্বাচনের দিন সিতাইয়ের রক্ত ঝরেছে। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যে ভোটকর্মীরা যাবতীয় সরঞ্জাম ফেলে ভোটকেন্দ্র থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।

    জেলায় দলীয় কোন্দলের ওপর এখনও রাশ টানতে পারেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। ভোট এগিয়ে আসতে জেলার বিভিন্ন অংশে গোষ্ঠীকোন্দল মাথচাড়া দিয়ে উঠছে। নাগরিক মঞ্চ তৈরি করে দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূলকর্মীদের একাংশ। আটিয়াবাড়ি ২ ব্লকের এক নেতাকে দলবিরোধী কাজের জন্য শোকজ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কোন্দলে রাশ টানতেই সিতাইয়ের বিধায়ক যোগ্য লোককে প্রার্থী করার কথা বলেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
  • Link to this news (এই সময়)