• সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, উত্তেজনা কোতলপুরে
    এই সময় | ২৮ নভেম্বর ২০২২
  • West Bengal News সমবায় সমিতির নির্বাচনের প্রার্থী দেওয়াকে কেন্দ্র করে এবার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ। দুই দলের মধ্যে মারামারির ফলে গুরুতর আহত ২ তৃণমূল নেতা। সমবায় সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ। সে কারণে তৃণমূলের ৮ জন বুথ সভাপতি পদত্যাগ করার ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করতে গেলে সেখানেই আরেক গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুর রামডিহা বাজার। আহত দু'জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতির সামাল দেয় কোতলপুর থানার পুলিশ (Kotulpur Police Station)।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার চোরকোলা রামডিহা আসিনকোটা সমবায় সমিতির নির্বাচনের কারণে গত ২৪ তারিখে ফর্ম ফিলাপ করার জন্য মোট ৯ জন প্রার্থীকে ডাকা হয়। সেই মতোই কয়েকজন হাজির হয় সমবায় সমিতিতে। তাঁদের হাত থেকে জোরপূর্বক আবেদন পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে আরেক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের আশ্রিত কয়েকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

    আহত গোপীনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য জানান, এই বিষয় নিয়ে ব্লক সভাপতিকে বলা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং আমাদেরকে অপমান করা হয়েছে। আর সেই অপমান থেকে আমরা আজ আট জন বুথ সভাপতি সহ একাধিক ব্যক্তি পদত্যাগ করার জন্য সাংবাদিক বৈঠক ডাকি। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তৃণমূলেরই আরেক গোষ্ঠী সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন প্রকাশ্যে মারামারি করেন দুষ্কৃতীরা এই দুষ্কৃতীরা ব্লক সভাপতির সাথে থাকা ব্যক্তিরা। এমনটাই অভিযোগ করছেন তৃণমূল নেতা নারায়ণ ঘোষ সহ একাধিক ব্যক্তিরা।

    আহত তৃণমূল নেতা নারায়ণ ঘোষ জানান, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Elections) ব্লক সভাপতি সহ আজ যাঁরা আমাদের মারলেন তারা বিজেপির হয়ে তৃণমূলকে হারানোর জন্য ভোট করেছিলেন। আজ সেই ব্যক্তি সভাপতি হতেই আমাদেরকে জোরপূর্বক মারধর করে ও ভয় দেখিয়ে তাঁরা তৃণমূল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে দল বেঁধে বুথ সভাপতিদের পদত্যাগের ঘটনা জেলা সভাপতি ও ব্লক সভাপতিকে আগেই জানিয়েছিলেন রামডিহা এলাকার (Trinamool Congress) কর্মীরা।

    বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমাদেরকে বিষয়টি বলেছে। আমরা দেখছি তবে মারধরের ঘটনা আমরা শুনিনি।" যদি কেউ এরকম ঘটনা ঘটে থাকে দলের পক্ষ থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই তিনি জানান। এদিনের মারধরের ঘটনার অনেক পর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে বলে অভিযোগ। আহত ব্যক্তিদের শেষমেষ কোতলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
  • Link to this news (এই সময়)