রাতারাতি কীভাবে ভোল বদলে গেল? রহস্য ফাঁস করলেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কোনও রাখঢাক না করেই স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, মনোবিদের সাহায্যে এই প্রত্যাবর্তন। সাইকোলজিস্ট তাঁর ওপর থেকে চাপ কমিয়ে দিয়েছে। এমিলিয়ানো বলেন, 'প্রথম ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়ার সময় মনে হয়েছিল হার বাঁচানোর জন্য আমার আরও কিছু করার প্রয়োজন ছিল। ৪৫ মিলিয়ন আর্জেন্টাইন সমর্থক আমার পাশে ছিল। কিন্তু আমি তাঁদের কিছু ফিরিয়ে দিতে পারিনি।' সৌদি ম্যাচের পর মনোবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। সেটাই কাজে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে এমিলিয়ানো বলেন, 'চলতি সপ্তাহে সৌদি আরবের কাছে হার নিয়ে আমি নিজের মনোবিদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করি। কারণ আমি কিছুতেই এই হার হজম করতে পারছিলাম না। ভাগ্যবশত আজ আমরা সেই বোঝা মুক্ত হলাম। দলগতভাবে এবং ব্যক্তিগতভাবে। কারণ সৌদি আরব ম্যাচে আমার চোখের সামনে দুটো গোল হয়েছে।'
সৌদি ম্যাচে গোল খেলেও মেক্সিকোর বিরুদ্ধে তাঁর রক্ষণ অটুট ছিল। মার্টিনেজ মনে করেন, অতিরিক্ত চাপ এবং সবার প্রত্যাশাও পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছিল। পাশাপাশি জানান, সৌদির বিরুদ্ধে মেসির গোলের পর দলে একটা গাছাড়া মনোভাব চলে এসেছিল। এই প্রসঙ্গে এমিলিয়ানো বলেন, 'ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়ায় আমরা একটু রিল্যাক্সড হয়ে পড়েছিলাম। তাই আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি। তারওপর পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা দুটো গোল হজম করে ফেলি।' মেক্সিকোর বিরুদ্ধে জয় আর্জেন্টিনা শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছে। বিশ্বকাপের শেষদিন পর্যন্ত এই ছন্দ ধরে রাখতে চান মেসিদের দুর্গের প্রহরী।