• Lionel Messi, FIFA World Cup 2022: সোনালি বুটজোড়া পরে বিশ্বকাপ মাতাচ্ছেন মেসি, জেনে নিন এই জুতোর কী বিশেষত্ব?
    ২৪ ঘন্টা | ২৮ নভেম্বর ২০২২
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিট্যাল ব্যুরো: চলতি কাতার বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022) দুটি গোল করে ফেলেছেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। সৌদি আরবের (Saudi Arabia) বিরুদ্ধে গোল করলেও, তাঁর আর্জেন্টিনা (Argentina) ১-২ ব্যবধানে হেরে যায়। তবে শনিবার তাঁর গোল ও অ্যাসিস্ট থেকেই মেক্সিকোকে (Mexico) ০-২ গোলে হারিয়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছে অগণিত নীল-সাদা সমর্থক। কারণ 'এল এম টেন'-এর (LM 10) পারফরম্যান্সের জন্যই যে কাপ যুদ্ধে বেঁচে আছে দু'বারের বিশ্বজয়ী দল। মেসির সেই দুটি গোল ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল তাঁর সোনালি বুটজোড়া। কারণ এই বুটজোড়া পরেই যে ৯০ মিনিটের যুদ্ধে সবুজ গালিচা কাঁপিয়ে দিচ্ছেন সর্বাধিক সাতটি ব্যালন ডি'ওর (Ballon d'Or) জয়ী মহাতারকা। 

    কিন্তু কী আছে বুটজোড়াতে? আর্জেন্টাইন অধিনায়কের বুটজোড়ার ছবি শনিবারই পোস্ট করেছে উয়েফা। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইনস্টাগ্রাম থেকে এই সোনালি বুটজোড়ার ছবি পোস্ট করা হয়। স্বভাবতই সেই ছবি দাবানলের মতো ভাইরাল। তারপর থেকেই তা ভাইরাল। কিন্তু কী এই জুতোর বিশেষত্ব? আসলে এই জুতোতে খোদাই করা মেসির তিন ছেলের নাম ও জন্মতারিখ। ডান বুটে রয়েছে থিয়োগো ও মাতেওর নাম-জন্মতারিখ এবং বাঁ বুটে রয়েছে মেসির কনিষ্ঠ পুত্র সিরোর নাম-জন্মতারিখ। সেই সঙ্গে সেখানে লেখা ‘আন্তো’। যা মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লার নামের সংক্ষিপ্ত চেহারা।

    এছাড়াও দুটি জুতোয় লেখা ‘১০’। তাঁর জার্সির নম্বরের মতোই। আর বাঁ জুতোয় অ্যাডিডাস এবং ডান জুতোয় ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডের লোগোর ছাপ। সোনালি রঙের বুটে সাদা ও নীলের ছোঁয়াও রয়েছে, যা আর্জেন্টিনার জার্সির রং। সব মিলিয়ে বুটজোড়ার বিশেষত্ব রাতারাতি তাদেরও ভাইরাল করে তুলেছে, তাদের মালিকের মতোই।

    ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচটি বিশ্বকাপে অ্যাসিস্ট করার কীর্তি গড়েছেন মেসি। ২০০৬, ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের পর ২০২২ সালের আসরেও অ্যাসিস্ট করলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এমনকি কিংবদন্তি ও তাঁর 'ফুটবল আইডল' দিয়েগো মারাদোনার (Diego Maradona) দু'টি রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছেন মেসি। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি এতদিন ছিল 'ফুটবলের রাজপুত্র'-র দখলে। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ২১টি ম্যাচ খেলেছিলেন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। শনিবার লুসেল স্টেডিয়ামে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে মাঠে নেমে মারাদোনাকে ছুঁয়ে ফেলেন মেসি। কারণ কাপ যুদ্ধে তাঁরও যে ম্যাচ সংখ্যা ২১। 

    আরও পড়ুন: 

    আরও পড়ুন: 

    এমনকি কাপ যুদ্ধে গোল করার ক্ষেত্রেও দিয়েগোকে ছুঁয়ে ফেললেন মেসি। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের নায়ক বিশ্বকাপে মোট ৮টি গোল করেছিলেন। পাঁচ বিশ্বকাপে খেলা মেসির মোট গোলসংখ্যাও এখন ৮টি। ১ ডিসেম্বর মেসি-অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াদের সামনে রবার্ট লেওনডস্কির (Robert Lewandowski) পোল্যান্ড (Poland)। সেই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়েই প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল পাকা হয়ে যাবে। আর যদি মেসি আর একটি গোল করে দেন, তাহলে তিনিই হয়ে যাবেন বিশ্বকাপের মঞ্চে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা। 

    বিশ্বকাপে ৮টি গোল করেছেন দিয়েগো। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোরও (Cristiano Ronaldo) গোল সংখ্যা ৮। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে গোল করে মেসিও ৮টি গোল করে ফেললেন বিশ্বকাপে। তবে এই তিন জনের মধ্যে কম ম্যাচ খেলে ৮টি গোল করেছেন 'সি আর সেভেন'। বিশ্বকাপে ১৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। অন্য দিকে মেসি ও মারাদোনা দু’জনেই বিশ্বকাপে ২১টি ম্যাচ খেলে ৮টি গোল করেছেন। 

     

    ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে ২টি গোল করেছিলেন 'ফুটবলের রাজপুত্র'। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে করেছিলেন ৫ গোল। সে বার তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে একটিও গোল দিতে পারেননি দিয়েগো। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে ২ ম্যাচ খেলে ১টি গোল করেছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপের মাঝেই ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে আর মাঠে নামতে পারেননি। 

    ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচ খেলে ১টি গোল করেছেন 'এল এম টেন'। ২০১০ সালে ৫ ম্যাচ খেলে একটিও গোল করতে পারেননি মেসি। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ৪টি গোল করেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে ৪ ম্যাচে ১টি গোল করেছেন। এবারের বিশ্বকাপে প্রথম দু’টি ম্যাচে ২টি গোল করা হয়ে গিয়েছে আর্জেন্টিনার অধিনায়কের। আর একটি গোল করলে তিনি ছাপিয়ে যাবেন দিয়েগোকে ছাপিয়ে যাবেন 'এল এম টেন'। সবকিছুই এই সোনালি বুটজোড়ার সৌজন্যে।  

     
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)