• গ্রাম পঞ্চায়েতের খরচের খুঁটিনাটি হিসেব জনসমক্ষে তুলে ধরছে রাজ্য সরকার
    বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২২
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কেন্দ্র টাকা দিলেও রাজ্য নাকি তা খরচ করতে পারে না! কখনও আবার নির্দিষ্ট প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা খরচ করা হয় অন্য কাজে। সরকারি প্রকল্প নিয়ে এরকম নানা অভিযোগ ওঠে মাঝেমধ্যেই। বিজেপি সহ বিরোধীরা এই অভিযোগ সামনে রেখে কড়া আক্রমণ করে রাজ্য সরকারকে। এই প্রেক্ষিতে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির জন্য বরাদ্দ অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খরচ হচ্ছে নাকি পড়ে থাকছে, তা সাধারণ মানুষের সামনেই তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। পঞ্চায়েত দপ্তরের পোর্টালে কার্যত প্রতি মুহূর্তের হিসেব তুলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত চাইলে প্রতিদিনের হিসেব টাঙিয়েও দিতে পারে নিজেদের অফিসে। আমলা মহল মনে করছে, এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় একদিকে যেমন কাজে স্বচ্ছতা বাড়বে, সেই সঙ্গে প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রেও গতি আসবে।

    প্রসঙ্গত, জেলার প্রশাসনিক বৈঠকগুলিতে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে কাজ ফেলে না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিরিখে পঞ্চায়েত দপ্তরের এই উদ্যোগ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে খবর, গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে কত টাকা পড়ে রয়েছে, তার প্রতিদিনের হিসেব পোর্টালে তুলে দেওয়া শুরু হয়েছে গত ১ নভেম্বর থেকে। দ্বিতীয় পর্যায়ে পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের খরচের হিসেবও এই পোর্টালের মাধ্যমে জনসমক্ষে তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। অন্যদিকে, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের শূন্যপদে নিয়োগের খবর কেন্দ্রীয়ভাবে পঞ্চায়েত দপ্তরের একটি পোর্টালে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিটি জেলার নিজস্ব দু’টি কমিটি এই নিয়োগ করে থাকে। কোনও জেলার নিয়োগ সংক্রান্ত খবর সংশ্লিষ্ট জেলার ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়। এর ফলে সবার পক্ষে নিয়োগের খবর পাওয়া সম্ভব হয় না। তাই কেন্দ্রীয়ভাবে একটি পোর্টালের কথা ভাবা হচ্ছে। এই পোর্টালে একজন চাকরিপ্রার্থী আগে থেকেই তাঁদের বায়োডাটা আপলোড করে রাখতে পারবেন। চাকরিপ্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরলে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে তাঁরা মোবাইল ফোনে এসএমএস পেয়ে যাবেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)