• Aftab Poonawalla : অস্থির হয়ে পড়ছে আফতাব, জেলে আত্মহত্যার আশঙ্কা মনোবিদদের
    এই সময় | ২৮ নভেম্বর ২০২২
  • জেলের মধ্যে উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন যখন তখন। যে কোনও মুহূর্তে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারেন তিনি। আফতাব পুনাওয়ালাকে (Aftab Poonawalla) নিয়ে এমনই আশঙ্কাপ্রকাশ করছে তিহার জেল (Tihar Jail) কর্তৃপক্ষ। রবিবারই শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের (Shraddha Murder Case) মূল অভিযুক্ত ফুড ব্লগার আফতাবকে তিহার জেলে পাঠানো হয়। সেখানে তার উপর কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে। তার প্রতি মুহূর্তের মানসিক অবস্থা খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। তিহার জেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, অধিকাংশ সময়ই আফতাবকে অস্থির দেখা গিয়েছে। যদিও জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই আফতাবকেই যথেষ্ট শান্ত, স্থির এবং নির্বিকার দেখা গিয়েছিল। তবে কি সাজার ভয়েই ক্রমশ আতঙ্ক গ্রাস করছে শ্রদ্ধার প্রেমিকের মনে? কী বলছেন মনোবিদরা?

    আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারেন আফতাব?

    সোমবার দ্বিতীয়ভাগে (Aftab Poonawalla Polygraph Test) করা হবে র। ইতিমধ্যেই তাঁকে তিহার জেল থেকে বের করে দিল্লির ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার জন্য একাধিক প্রশ্নের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। মনোবিদ এবং তদন্তকারীদের উপস্থিতিতে সেই প্রশ্নগুলি করা হবে মূল অভিযুক্তকে। পাশাপাশি প্রতিটা জবাবের সময় মনিটর করা হবে আফতাবের রক্তচাপ, হার্টবিট। এদিকে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, অত্যন্ত শান্ত মাথায় পরিকল্পনা মাফিক খুন করেছিল আফতাব। ফলে পলিগ্রাফ টেস্টের সময়ও তার মানসিক অবস্থা অত্যন্ত দৃঢ় থাকবে বলেই বিশেষজ্ঞদের অনুমান। অন্যদিকে, আরেক অংশ মনে করছেন, আফতাব যে কোনও মুহূর্তে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করতে পারে। সে ক্ষেত্রে তার উপর নজর রাখা প্রয়োজন। জেলে তার সেলে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে।

    আফতাবকাণ্ডে গ্রেফতার মাদক পাচারকারী

    শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে এক নয়া মোড়। গুজরাটের সুরাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক মাদক পাচারকারীকে। জানা গিয়েছে, ফয়জল মোমিন নামে এই পাচারকারীর থেকেই মাদক কিনত আফতাব। মুম্বইয়ে র ভাড়া ফ্ল্যাটের পাশেই থাকত এই পাচারকারী। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে আফতাব সম্পর্কে আরও নানা তথ্য উঠে আসতে পারে বলেই মনে করছে দিল্লি পুলিশ।

    শ্রদ্ধাকে হত্যার পর কাকে ডেট আফতাবের?

    প্রেমিকাকে খুনের পর এক মহিলা মনোবিদের সঙ্গে ডেটিং শুরু করেন আফতাব পুনাওয়ালা। দিল্লি পুলিশ সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়, তাকে জেরা করে আরও জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেওয়ার পর ওই মনোবিদকে নিজের ফ্ল্যাটেও নিয়ে আসেন তিনি। সেখানে তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্কও তৈরি হয়। ইতিমধ্যেই ওই তরুণী মনোবিদকে একপ্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। নেপথ্যে এই তরুণী মনোবিদের কোনও হাত ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)