• '...পরিমাণ মতো মদ খেতে হবে!' তৃণমূল বিধায়কের পরামর্শ ঘিরে বিতর্ক
    এই সময় | ২৮ নভেম্বর ২০২২
  • West Bengal News : বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) হতে পারে। আর তার আগে প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলই। বাদ যাচ্ছে না শাসকদলও (TMC)। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে শাসক দলের নেতাদের। একই ভাবে রবিবার বিকালে নিজে সাইকেলে করে বিভিন্ন গ্রামের পথে ঘুরে বেড়ান ডেবরার বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর (Humayun kabir)। ‘চলো গ্রামে যাই’-কর্মসূচিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শোনেন তিনি। আর হাতের সামনে বিধায়ককে পেয়ে স্থানীয় মহিলা সহ বয়স্করা এলাকায় বেআইনি মদের দোকান বন্ধ করার দাবি জানান। তাঁদের সেই দাবি মেনে স্থানীয়দের 'পরিমাণ মতো মদ' খাওয়ার পরামর্শ দেন বিধায়ক।

    তৃণমূলের চলো গ্রামে যাই কর্মসূচি

    ‘।’ পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের নয়া কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সেই মতো প্রতিটি এলাকায় ইতিমধ্যে তৃণমূলের মহিলা কর্মীসহ এলাকার বিধায়করা গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছেন এবং বুথে বুথে সভা করছেন। পাশাপাশি এলাকার মানুষের অভাব অভিযোগও শুনছেন তাঁরা। এবার এই কর্মসূচিতে গিয়ে এলাকাবাসীদের মুখ থেকে বেআইনি মদ দোকান বন্ধ করার দাবি শুনতে হল ডেবরা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী । রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের ডেবরা ৫/২ অঞ্চলের হৈপথ এলাকায় সাইকেলে চড়ে ‘‌চলো গ্রামে যাই’‌ কর্মসূচিতে পৌঁছন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সেই সময় স্থানীয় এলাকার মহিলা সহ বয়স্করা বিধায়ককে কাছে পেয়ে বেআইনি মদ দোকান বন্ধ করার দাবি জানান।

    স্থানীয়দের অভিযোগ

    বেআইনি মদের দোকান বন্ধ প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় প্রচুর দোকান রয়েছে। যার ফলে যুবসমাজ মদ্যপানের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। স্থানীয় মহিলারা অনেক সময় মদের ঠেক ভেঙে দিয়েছেন। কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হয়নি। বেশিরভাগ সময়ই মদের ঠেকে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আবগারি দফতর ও পুলিশকে বহুবার জানিয়েছেন। তবে তাতেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।

    বিধায়কের আশ্বাস

    এলাকায় অবৈধ মদ বিক্রির কথা জানতে পেরে বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর বলেন, "প্রতিদিন মদ খাওয়ার ফলে এলাকায় ৩৪ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে খালি পেটে মদ খায় এবং সেই কারণে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আর তার জেরে অসুস্থ হয়ে অনেকেরই মৃত্যু হয়। এখানে বেআইনি মদের ঠেক বন্ধ করার জন্য আমি থানার বড়বাবুকে বলেছি। যাতে বেআইনি মদ বিক্রি এখানে বন্ধ করা হয়। দেশি মদ যেটা বিক্রি হয় সেটা দোকান থেকে এনে খাচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে। বেআইনি মদ থাকলে ওটা আবগারি দফতরের গাফিলতি। সরকারি মদ যেটা আছে ওটা খেতেই পারে কিনে এনে। এদের সচেতন হতে হবে। মদ খেলেও একটা পরিমাণ মতো খেতে হবে। কেউ যদি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মদ খায় তাহলে তো তার লিভারের সমস্যা হবেই।"
  • Link to this news (এই সময়)