• হিন্দি গান বাজানোর জন্য ফেরিওয়ালাকে হুমকি! ভিডিয়ো Viral হতে সরব বিরোধী পক্ষও
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ নভেম্বর ২০২২
  • গলিপর মুখে দাঁড়িয়ে এক ফেরিওয়ালা সাজিয়ে নিচ্ছিলেন তাঁর ঠেলাগাড়ি। গাড়িতেই লাগিয়ে রাখা স্পিকার থেকে বাজছিল গান। গানটি বাংলা নয়, হিন্দি। এই গান শুনেই গাড়ির দিকে এগিয়ে যান এক মহিলা। এবং ধমক দেন, ওই গান বাজানোর জন্য। সঙ্গে বলেন আরও কিছু কথা। তার পরে সেই ভিডিয়ো দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর জেরে উত্তেজনা নেটপাড়ায়।

    কী ঘটেছে ঘটনাটি? শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা ভিডিয়োটি রেকর্ড করছেন। যদিও তাঁকে ভিডিয়োয় দেখা যায়নি। কিন্তু তাঁর কণ্ঠস্বরই স্পষ্ট শোনা যায়। তিনি প্রথমে এই ফেরিওয়ালার উদ্দেশে বলেন, ‘অ্যাই, কোথায় ব্যবসা করছো? ব্যবসাটা কোথায় করছো? জায়গাটা কী? এই জায়গাটার নাম কী? তুমি যেখানে আছো, সেই রাজ্যটার নাম কী?’

    এই পর্যন্ত শুনে ফেরিওয়ালা অস্পষ্ট স্বরে কিছু বলেন। তার পরে আবার মহিলা প্রশ্ন করেন, ‘কোথায় থাকো? বাড়ি কোথায়?’ এতে ফেরিওয়ালা রাজ্যের একটি জায়গার নাম বলেন। তখ ভিডিয়ো রেকর্ড-কারী বলেন, ওই জায়গাটি কোথায়? বিহারে নাকি উত্তরপ্রদেশে নাকি মহারাষ্ট্রে? নাকি বাংলায়? জবাবে ফেরিওয়ালা বলেন, ‘বাংলায়’।

    এর পরেই মহিলা বলেন, ‘যদি বাংলায় হয়, তাহলে কী গান চালাচ্ছো ওগুলো? তোমার বিহারে, উত্তরপ্রদেশে বাংলা গান চলবে?’ তাতে ফেরিওয়ালাও বলেন, তিনি সব গান চালান। তখ মহিলা বলেন, ‘তুমি এখানে বাংলা গান চালাবে। হিন্দি গান চালিয়ে এই পাড়া দিয়ে ব্যবসা করবে না। ঠিক আছে?’ এর পরে এক প্রকার হুমকিও দেন ফেরিওয়ালাকে। পরে এই ভিডিয়োটি এক গ্রুপ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়।

    হালে কিছু সংগঠন এবং ব্যক্তির উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গে ‘বাঙালি জাতীয়বাদ’ বেশ সক্রিয় হয়েছে। বহু মানুষই এই মতবাদের সমর্থন করেন। তাঁরা এই ভিডিয়োটির প্রশংসা করেছেন। কিন্তু পাশাপাশি বিরোধী পক্ষও যথেষ্ট সমালোচনা করেছে এই ধরনের আচরণের।

    কেউ কেউ লিখেছেন, এমন হলে তো অন্য রাজ্যে গিয়ে বাঙালিরা ব্যবসা করতে পারবেন না। সেখান থেকে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে। কারও মতে, হিন্দি বা অন্য ভাষা নিয়ে এত আপত্তি থাকলে বড় ব্যবসায়ী, বিজ্ঞাপনদাতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন, খামোখা গরিব ফেরিওয়ালাকে হুমকি দেওয়া কেন? কারও মতে, একজন মানুষ নিজের পছন্দ মতো গান শুনতেও পারবেন না? এ কেমন স্বাধীনতা? সব মিলিয়ে দু’ধরনের মতামতই তীব্র হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)