• China Covid Protest: তিয়েনআনমেনের মতো গণহত্যা দেখবে চিন? দেশজোড়া বিক্ষোভের মধ্যে প্রমাদ গুনছে বিশ্ব
    এই সময় | ২৮ নভেম্বর ২০২২
  • গণবিক্ষোভ থামাতে চিনের রাস্তায় নামবে ট্যাঙ্ক? আবারও একবার তিয়েনমেন স্কোয়ারের মতো ঘটনা ঘটবে ড্রাগনল্যান্ডে? আম আদমির রক্তে ভিজবে দেশের মাটি? জিরো কোভিড নীতির বিরুদ্ধে চিন জুড়ে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে এই প্রশ্ন। বিক্ষোভ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই শিনজিয়ান, সাংহাই ও উরুমকির মতো শহরগুলিতে নামানো হয়েছে বিশাল পরিমাণ নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু তার পরও আন্দোলন থামা তো দূরে থাক, উল্টে নতুন নতুন শহরে তা ছড়িয়ে পড়ছে। সাংহাই থেকে বিক্ষোভ বেজিংয়ে ছড়িয়েছে বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাকেও তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বিশেষজ্ঞদের দাবি, পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে সেনাকে চরম পদক্ষেপের জন্য নির্দেশ দিতে পারেন তিনি। ৩৩ বছর আগে ১৯৮৯-তে যেমনটা ঘটেছিল তিয়েনমেন স্কোয়ারে।

    গত কয়েক মাস ধরে চিনে নতুন করে মারাত্মক হারে ছড়াতে শুরু করেছে । এই অবস্থায় জিরো কোভিড নীতিকে কঠোরভাবে প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন । গোটা দেশে জারি রয়েছে লকডাউন। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সাংহাইয়ের উরুমকিতে একটি বহুতলে আগুন লাগে। লকডাউন থাকায় বাইরে থেকে বন্ধ করা ছিল ওই বহুতল। ফলে পুড়ে মৃত্যু হয় অন্তত ১০ জনের। এর পরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। লকডাউন তুলে দেওয়ার জন্য পথে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন আম চিনা নাগরিকরা।

    রবিবার সাংহাইয়ের উরুমকিতে জমায়েত করেন বিক্ষোভকারীরা। সেখানে স্লোগান ওঠে, ‘শি জিনপিং নিপাত যাক। চিনা কমিউনিস্ট পার্টি নিপাত যাক।’ আন্দোলনকারীদের দাবি, অবিলম্বে লকডাউন তুলতে হবে। শিনজিয়ান, সাংহাই সমস্ত জায়গায় কেন সবাইকে গৃহবন্দি করে রাখা হচ্ছে? বিশ্বজুড়ে যেখানে অতিমারী কমছে, জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে, সেখানে এই পদক্ষেপ কেন করছে ? প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। এর পাশাপাশি, এই আন্দোলন থেকেই উঠেছে মুক্তির স্লোগানও। “চিনের শাসনমুক্ত শিনজিয়ান-সাংহাই চাই।” দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ।

    অন্যদিকে চিনের বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে বিপাকে পড়েন BBC-র এক সাংবাদিক। অভিযোগ, হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় নিরাপত্তা রক্ষীরা। শুধু তাই নয়, ওই সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও দাবি করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা BBC। এইঘটনায় বেজিংয়ের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে ব্রিটিশ দূতাবাস। নিন্দায় মুখর হয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।
  • Link to this news (এই সময়)