• Chocolate : ছেলের আবদার, বাবার আনা চকোলেট খেয়েই মর্মান্তিক পরিণতি শিশুর
    এই সময় | ২৮ নভেম্বর ২০২২
  • গলায় চকোলেট আটকে মৃত্যু একরত্তির। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানায়। জানা গিয়েছে, গত ২৬ নভেম্বর শনিবার স্কুলে চকোলেট নিয়ে গিয়েছিল তেলঙ্গানার নয় বছরের এক শিশু। স্কুলের মধ্যে চকোলেট খাওয়াই কাল হল তার। গলায় চকোলেটের টুকরো ফেঁসে গিয়ে দম আটকে যায় শিশুটির। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঠিক কী ভাবে ঘটল এই ঘটনাটি?

    কী ভাবে মৃত্যু হল শিশুটির?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তেলঙ্গানার বারঙ্গল জেলায় সন্দীপ নামে ওই নয় বছরের শিশুটি স্থানীয় সারদা হাইস্কুলের পড়ুয়া। দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্র গত শনিবার স্কুলে টিফিনে একটি চকোলেট নিয়ে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, শিশুটির বাবা কুঁয়র সিং কর্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। সম্প্রতি দেশে ফিরেছিলেন তিনি। ছেলের আবদারে অস্ট্রেলিয়া থেকে বিশেষ চকোলেট নিয়ে এসেছিলেন তিনি।

    টিফিন টাইমে ব্যাগ থেকে সেই চকোলেট বের করে খেতে শুরু হয়ে নয় বছরের সন্দীপ। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। আচমকাই শরীর খারাপ করতে শুরু করে তার। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। সহপাঠীরা তাকে সংজ্ঞা হারাতে দেখে শিক্ষকদের খবর দেয়। টিফিন টাইমে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চকোলেটটি খাবার সময়ই অচৈতন্য হয়ে পড়ে ওই শিশুটি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিকতবর্তী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় তার বাবা-মাকেও। কিন্তু, হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গলা থেকে টফি বের করার চেষ্টা করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি।

    অন্যদিকে, বেঙ্গালুরুর একটি ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। খিদের জ্বালায় কাঁদছিল একরত্তি মেয়েটা। চকোলেট বা বিস্কুট শেষ। চুপ করানো যায়নি বছর আড়াইয়ের মেয়েকে। এ দিকে পকেটও খালি। গলা পর্যন্ত দেনায় ডুবে থাকা বাবা আর মাথার ঠিক রাখতে পারলেন না। মেয়েকে শক্ত করে বুকে জড়িয়েই ঝাঁপ দিয়েছিলেন হ্রদে। পরের দিন দেহ মেলে শিশুটির। পুলিশের সন্দেহ, মেয়েকে বুকের মধ্যে জোরে চেপে শ্বাসরোধ করেই মেরে ফেলেছিল বাবা। মেয়েকে খুন ও জলাশয়ে দেহ লোপাট করার অভিযোগ দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে। দিশেহারা হয়েই মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে পুলিশি জেরায় জানিয়েছে ওই ব্যক্তি। যদিও পুলিশ তার যুক্তি মানতে নারাজ।
  • Link to this news (এই সময়)