পঞ্জাব কংগ্রেসে ফের বড় ভূমিকায় দেখা যেতে পারে সিধুকে। দলের হাল ধরার জন্য সিধুকে প্রিয়াঙ্কা চিঠি দিয়েছেন বলে খবর। বর্তমানে এক মামলায় জেলবন্দি প্রাক্তন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। আগামী বছর মে মাসের পর ফের কংগ্রেসে ফের বড় ভূমিকায় দেখা যেতে পারে নভজ্যোৎ সিং সিধুকে। সাজা শেষের পর দলের হাল ধরার জন্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রাক্তন পঞ্জাব কংগ্রেস সভাপতিকে চিঠি দিয়েছেন বলে খবর। বর্তমানে পুরনো এক মামলায় জেলবন্দি সিধু। আগামী বছর মে মাসে শেষ হচ্ছে তাঁর শাস্তির মেয়াদ। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর পঞ্জাবে বেশ বেকায়দায় কংগ্রেস। গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালা খুনের পরও প্রতিবাদী ভূমিকায় দেখা যায়নি ‘হাত’ শিবিরকে। দেখা যায়নি আপ সরকারের বিরুদ্ধে কোনও বড় আন্দোলন সংগঠিত করার ক্ষেত্রেও। এজন্য পঞ্জাব কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতাকে দায়ি করেছে দলের একাংশ।
এই অবস্থায় পঞ্জাবে দলের সংগঠনকে মজবুত করতে আসরে নেমেছেন বলে খবর। দলের হাল ফেরাতে ফের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধুর উপরই প্রিয়াঙ্কা আস্থা রাখতে চলেছেন বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, বর্তমানে জেলবন্দি সিধুকে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক একটি চিঠিও দিয়েছেন। তবে, প্রিয়াঙ্কার চিঠিতে সিধুকে কী ভূমিকা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি। যদিও ফের সিধুর হাতেই পঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে একাংশের মত।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের রোড রেজ মামলায় প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা সিধুকে গত মে মাসে এক বছরে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে । বর্তমানে কংগ্রেস নেতার ঠিকানা হয়েছে পাতিয়ালার একটি জেল। ১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর সিধু এবং তাঁর বন্ধু রুপিন্দর সিং সান্ধুর সঙ্গে পাতিয়ালার বাসিন্দা গুরনাম সিং-এর ঝামেলা হয়। অভিযোগ করা হয় গুরনামকে মারধোর করে এলাকা থেকে পালিয়ে যান সিধু এবং সান্ধু। আগামী বছরের ২২ মে শেষ হবে প্রাক্তন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কারাদণ্ডের মেয়াদ।
তবে, ফের পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হলে দলের হাল কতটা ফিরবে তা নিয়ে দলের একাংশের মধ্যে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। কেননা, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিধুকে পঞ্জাবে দলের দায়িত্ব দেওয়ার পর কোন্দল চরমে ওঠে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে সিধুর দ্বন্দ্ব চরম আকার নেয়। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস ছাড়েন অমরিন্দর। বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয় হয় কংগ্রেসের। বিধানসভা নির্বাচনে সিধু অমৃতসর পূর্ব কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। শুধু অমরিন্দর নয়, আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নির সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন সিধু।