পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বরের ঝাঁঝরায় শনিবার বিজেপির জনসভা ছিল। সেখানে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, মিঠুন-সহ জেলা নেতৃত্বের অনেকেই ছিলেন। নিজের ভাষণে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন মিঠুন। দাবি করেছিলেন, ‘‘অবাধ নির্বাচন হলে শুধু পঞ্চায়েত নয়, জোর গলায় বলছি, কালকে বিজেপি সরকার গড়বে।’’ সোমবার সেখানেই পাল্টা সভা করে তৃণমূল। মিঠুনের নাম না করে সায়নী বলেন, ‘‘সমস্ত রকম জাত গোখরোদের জন্য বাংলার ঘরে ঘরে কার্বলিক অ্যাসিড তৈরি রয়েছে।’’ মিঠুনকে আক্রমণ করে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এক সময় নকশাল ছিল। পরে জ্যোতি বসুকে ‘কাকু’ বলে বামেদের দলে গিয়েছিল। এর পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বোন’ বলেছিল। এখন দিল্লিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে ‘বাবা’ বলছে।’’
মিঠুনের পাশাপাশি সুকান্ত তথা পদ্মশিবিরকেও নিশানা করেন সায়নী। তাঁর কথায়, ‘‘আগে ২ কোটি চাকরি দিক। ১৫ লক্ষ টাকা করে অ্যাকাউন্টে দিক। তার পর (লক্ষ্মীর ভান্ডারে) ২ হাজার টাকা দেবে।’’ তৃণমূল সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ৫০০ টাকা দেয়। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ওই প্রকল্পে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে সম্প্রতি দাবি করেন সুকান্ত।
রাজ্যের মানুষের সমর্থন যে তাঁদের সঙ্গে রয়েছে, সে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘২০২১ সালের ২ মে-র পর থেকে বিজেপি কর্মীদের উপর সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল। বাড়ি ভাঙচুর করেছে, যাঁরা কারখানায় চাকরি করতেন, তাঁদের চাকরি কেড়ে নিয়েছে, মিথ্যা মামলায় অভিযোগ দিয়েছে। আজ কিন্তু আর সেই পরিস্থিতি নেই। সন্ত্রাসের মোকাবিলা করার মতো জায়গায় রয়েছে বিজেপি। আমাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি সার্ভে করছেন। তাতে উঠে এসেছে, রাজ্যের মানুষ এখন বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। এর অনেকটাই প্রমাণ দেবে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট।’’