স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২২ নভেম্বর নতুন কাজিপাড়া গ্রামে রবিউলের শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন কাবিল। পরে ওই বাড়ির উঠোন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। রাতে বাবার জখম হওয়ার খবর পেয়ে পেয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে রবিউলই তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে কাবিলকে প্রথমে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। শনিবার সকালে মৃত্যু হয় কাবিলের।
রবিউলের অভিযোগ, ‘‘ওই দিন স্ত্রী (সেলেনা বিবি) রাতে ফোন করে জানান, উঠোনে পড়ে গিয়ে বাবার মাথা দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। বাবাকে পরে কলকাতায় আনার পর দেখা গেল, শরীরের একাধিক হাড় ভাঙা। শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই বাবাকে রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে।’’ খুনের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে রবিউলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রবিউলের শাশুড়ি রোজিনা বিবি দাবি করেছেন, ‘‘কলতলায় পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছিল মেয়ের শ্বশুর। সেটাই হয়তো মৃত্যুর কারণ।’’
শনিবার তাঁর বাবার মৃত্যুর পরেই রোজিনা, শ্বশুর জিয়াউল শেখ এবং শ্যালক নওশাদ শেখের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রবিউল। তার পর সোমবার দোষীদের শাস্তির দাবিতে উত্তাল হল সুতি-বহরমপুর রাজ্য সড়ক। যদিও পুলিশ প্রশাসনের তরফে তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হলে সকাল ১১টা নাগাদ অবরোধ উঠে যায়। তার পরেও এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।