প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’ মামলায় গ্রেফতার হন যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর মুখেই প্রথম উঠে আসে বীরভূমের বিভাসের নাম। বস্তুত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির পর থেকে বিভাসের নাম সেই উঠে আসে তদন্তকারীদের খাতায়। এক সময় বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি ছিলেন নলহাটির বাসিন্দা বিভাস। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিকের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেও পরিচিত তিনি। বিভাস নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ‘পুরনো চরিত্র’। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছিলেন।
নিয়োগ মামলার তদন্তের প্রথম দিকে বিভাসের নলহাটির কৃষ্ণপুরের বাড়ি এবং কলকাতার শিয়ালদহের অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। নলহাটির কৃষ্ণপুর গ্রামে ডিএলএড এবং বিএড কলেজ রয়েছে। তার মালিকানা নাকি বিভাসের নামে। একদা তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বিভাস নলহাটি-২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতার হওয়ার পরই তৃণমূল ছেড়ে দেন বিভাস। তার পর ‘অল ইন্ডিয়া আর্য মহাসভা’ নামে একটি নতুন দল তৈরি করেন তিনি। মঙ্গলবার বিভাসকে তলবের বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েক বার ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।