• নেপাল-বাংলাদেশের প্রকল্পে আগ বাড়িয়ে কাজ করতে চাইছে চিন, মতলবটা আসলে কী?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ নভেম্বর ২০২২
  • রেজাউল এইচ লস্কর

    প্রতিবেশী দেশের একের পর এক কাজ হাতে নিয়ে কি চিন গোপনে নজর রাখতে চাইছে ভারতের উপর? বাংলাদেশের তিস্তা নদী সংক্রান্ত প্রকল্পেও বড় ভূমিকা নিচ্ছে চিন। সেখানেও চিন তার নৌবহর নামাবে বলে খবর। এমনকী নেপালে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার প্রকল্পেও চিন তার ভূমিকা নিচ্ছে বলে খবর। এবার এনিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত।

    তবে রবিবার নেপালের সুপ্রিম কোর্ট এই সংক্রান্ত একটি উদ্যোগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। চিনের ফার্স্ট হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের কাছে নেপাল আর্মি প্রায় ১৫০০ কোটির একটি চুক্তি করছিল বলে খবর। তবে আদালত নির্দেশ দিয়েছে সবপক্ষকে এনিয়ে মঙ্গলবার আলোচনায় বসতে হবে। এদিকে ভারতের আফকন ইনফ্রাস্ট্রাকটার লিমিটেডও এই টেন্ডারে অংশ নিয়েছিল। তারা এনিয়ে নেপালের আদালতে আবেদন করেছিল।

    এদিকে কাঠমাণ্ডু- তরাই মাধেশ এক্সপ্রেসওয়ের এই টেন্ডার প্রক্রিয়াকে ঘিরে কতটা স্বচছতা রয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এদিকে এই প্রকল্পের একাংশ ভারতের সীমান্তের কাছাকাছি রয়েছে। সেকারণে এটি ভারতের জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রেও সংবেদনশীল।

    এদিকে কয়েক মাস আগে থেকেই তিস্তা নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য নদীতে ড্রেজিং করার ব্যাপারে বড় ভূমিকা নিয়ে চাইছে চিন। ওয়াকিবহাল মহলের এমনটাই মত। বাংলাদেশ সরকারেরও এনিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। তবে জলবণ্টন সংক্রান্ত একটি চুক্তি এখনও ভারতের সঙ্গে বকেয়া রয়েছে। সেকারণেই বাংলাদেশ কিছুটা অপেক্ষা করতে চাইছে। কিন্তু চিনের যেন আর তর সইছে না।

    বাংলাদেশে থাকা চিনের দূত সম্প্রতি ভারতের নাম না করে জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের সঙ্গে সংবেদনশীল কিছু বিষয় রয়েছে। কিন্তু চিন এখানে বিনিয়োগ করতে রাজি। বাংলাদেশে যদি এটা করাতে সিদ্ধান্ত নেয় তবে চিন অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে।

    এদিকে দুটি ইয়াং ওয়াং পর্যায়ভুক্ত জাহাজ ইতিমধ্য়েই ভারত মহাসাগরে নামিয়ে দিয়েছে চিন। মনে করা হচ্চে এসব গুপ্তচরবৃত্তির জন্য। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশে ও নেপালে কাজ করার জন্য চিনের বিশেষ ইচ্ছা। কারণটা কী?

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)