• বলপূর্বক ধর্মান্তরকরণ নিয়ে কেন্দ্রকে তথ্য সংগ্রহের বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ নভেম্বর ২০২২
  • সমস্ত রাজ্য থেকে বলপূর্বক ধর্মান্তরকরণ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশ কেন্দ্রকে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই ধর্মান্তরকরণের ঘটনাকে 'গুরুতর' বলে আখ্য়া দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আদালত বলছে, এই অবৈধভাবে ধর্মান্তরকরণ করার ঘটনা নিয়ে আইনি পথে এগিয়ে দুর্বল শ্রেণিকে রক্ষা করার উদ্যোগ একেবারেই ন্যায়সঙ্গত।

    বিচারপতি এম আর শাহ ও সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ বলছে, 'এটি একটি গুরুতর ঘটনা। বলপূর্বক ধর্মান্তরিকরণ হতে পারে না। আমরা কোনও রাজ্যের বিরুদ্ধে নই। সংশ্লিষ্ট রাজ্য থেকে এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে কেন্দ্র আগে হলফনামা ফাইল করুক।' কেন্দ্রকে এই বিষয়ে ১ সপ্তাহের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।  দিল্লির বিজেপি নেতা অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের দায়ের করা পিআইএলের সাপেক্ষে একথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, এই ঘটনা 'হুমকির শামিল। আমরা একটি ছোট প্রত্যুত্তরে তালিকা বানিয়েছে সেই সমস্ত রাজ্যের যারা এই নিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে আর সেই সমস্ত রাজ্যের যারা এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।' স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ফাইল করা হলফনামায় বলা হয়েছে, ধর্মীয় স্বাধীনতার মধ্যে ভারতীয় সংবিধানে কোথাও অধিকার দেওয়া হয়নি বলপূর্বক কারোর ধর্মকে পরিবর্তন করতে। ধর্মান্তরকরণ নিয়ে হুমকি, লোভ দেখানো, ছলনা, ভয় দেখানোর মতো ঘটনা ঘিরে আইনি পদক্ষেপ যে সমস্ত রাজ্য নিয়েছে সেই ৯ টি রাজ্যের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। তারমধ্যে রয়েছে ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক ও হরিয়ানা। কেন্দ্র জানিয়েছে, তারা এই ধর্মান্তরকরণের বিপদ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কেন্দ্র জানিয়েছে, 'যে ত্রাণ এই পিটিশনে চাওয়া হয়েছে তা নিয়ে গুরুত্ব সহকারে এগোবে কেন্দ্র।'

    এদিকে, শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই বলপূর্বক ধর্মান্তরকরণ ইস্যুতে সমস্ত রাজ্যকে নোটিস পাঠানোর পথে যেতে চাইছে না তারা। কারণ তাতে গোটা আইনি প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবে। এই পিআইএলের দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এস কে রাঘবেন্দ্র এর বিরোধিতা করেন আদালতে। এর আগে বলপূর্বক ধর্মান্তরকরণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে তার অবস্থান জানাতে বলে গত ১৪ নভেম্বর। সেই সময়ও এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুতর বলে আখ্য়া দিয়েছিল কোর্ট।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)