• যুদ্ধবিরতিতে ইতি টানল তেহেরিক-ই-তালিবান, পাকিস্তান জুড়ে হামলার ছক: Report
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ নভেম্বর ২০২২
  • এলএন রাও

    পাকিস্তানের তালিবান সোমবার জানিয়ে দিল তারা সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। দেশ জুড়ে পালটা আঘাত হানার জন্য় যোদ্ধাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    তেহেরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের তালিবানের কিছু ফারাক রয়েছে। তবে তাদের আদর্শের মধ্য়ে নানা মিলও রয়েছে। সেই ২০০৭ সাল থেকে অন্তত শ খানেক হামলা, হাজার খানেক মৃত্যুর জন্য় দায়ী এই সংগঠনই।

    সূত্রের খবর, চলতি বছরে তারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। মূলত আফগানিস্তানের বর্তমান তালিবান শাসকেরা এই শান্তিচুক্তির পেছনে অন্যতম মধ্যস্থতাকারী হিসাবে ছিল। কিন্তু এই পরস্পরের মধ্য়ে আপোস সেটা যে সবসময় কাজ করেছে এমনটা নয়।

    তেহেরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয় আমরা আমাদের ধারাবাহিক ধৈর্য্য দেখিয়েছি। এই আপোসের যে প্রক্রিয়া তাতে যাতে কোনওভাবেই অন্তর্ঘাতের কোনও পরিস্থিতি না হয় সেজন্য়ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    কিন্তু আর্মি আর ইনটেলিজেন্স এজেন্সি এরপরেও থামেনি। তারা বার বার হামলা চালিয়েছে। সেকারণে আমাদের প্রতিরোধকামী শক্তি এবার দেশে পালটা হানা চালাবে।

    এদিকে শুক্রবার পর্যন্ত মিলিটারি বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। জঙ্গি দমনের জন্য় এই তৎপরতা। এমনকি হেলিকপ্টার দিয়েও তাদের ডেরায় গোলাবর্ষণ হয়েছে বলে খবর।

    আসলে ২০০৭ সালে তৈরি হয়েছিল এই টিটিপি। তালিবানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই কাজ করত এই সংগঠন। পাকিস্তানি জেহাদিদের নিয়ে তৈরি তাদের বাহিনী। বিগতদিনে তারা পাকিস্তানের একাংশে টহল দিত। ইসলামিক আইনকে প্রয়োগের চেষ্টা করত। পাকিস্তানের রাজধানী থেকে অন্তত ১৪০ কিমি দূরে তারা ক্ষমতা কায়েম করে ফেলেছিল।

    এদিকে ২০১৪ সালে আর্মিদের সন্তানরা পড়ে এমন স্কুলে তারা হামলা চালিয়েছিল। অন্তত ১৫০জনকে তারা খুন করে ফেলে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই পড়ুয়া। এরপরই সতর্ক হয়ে যায় পাক আর্মি। তারপরই তাদের পালটা নিকেশ করতে উঠেপড়ে লাগে আর্মি। মূলত এদের শেকড়় পোঁতা রয়েছে আফগানিস্তানে। তবে পরে দাবি করা হয় এরা পাকিস্তানে নিজস্বতা অর্জন করেছে। এদিকে আফগানিস্তানে তালিবান শাসন কায়েম হওয়ার পরে পাকিস্তানেও এদের বাড়বাড়ন্ত হতে থাকে।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)