• Brazil-Switzerland: ক্যাসেমিরোর গোলে শেষ ষোলোয়, হেক্সা অভিযানে আরও একধাপ এগোল নেইমারহীন ব্রাজিল
    আজকাল | ২৯ নভেম্বর ২০২২
  • ব্রাজিল - ১ (ক্যাসেমিরো)

    সুইৎজারল্যান্ড - ০

    আজকাল ওয়েবডেস্ক: অবশেষে স্বস্তি। ফিরল না বেলো হরাইজন্তের রাত। তিতের নেইমারহীন ব্রাজিল আত্মনির্ভর। সোমবার রাতে দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪ এ সুইৎজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোয় চলে গেল সেলেকাওরা। ম্যাচের একমাত্র গোল কার্লোস হেনরিক  ক্যাসেমিরোর। হেক্সা অভিযানে আরও একধাপ এগোল নেইমারহীন ব্রাজিল। গ্যালারিতে তার সাক্ষী থাকলেন রোনাল্ডো, রবার্তো কার্লোস, কাফু, কাকারা। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ভিনিসিয়াসের পাস থেকে মুহূর্তের মধ্যে গোল লক্ষ্য করে কোনাকুনি শট নেন ব্রাজিলীয় মিডিও। অনবদ্য গোল। এত দ্রুততার সঙ্গে শট নেন ক্যাসেমিরো,  রিয়্যাকশন টাইম ছিল না সুইস কিপারের। শুধুমাত্র দর্শকের ভূমিকায় সোমার। গ্রুপের প্রথম দুটো ম্যাচ জিতে ফ্রান্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে চলে গেল ব্রাজিল। তবে জিতলেও এদিন সেই গতিময় ফুটবল দেখা যায়নি। সার্বিয়া ম্যাচের তুলনায় অনেক বেশি মন্থর ছিল সেলেকাওরা। যদিও শেষদিকে যথেষ্ট প্রেস করে। রদ্রিগো, ভিনিসিয়াসরা সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান বাড়তে পারত। 
     
    বিশ্বকাপে ব্রাজিলের কাছে কখনও হারেনি সুইৎজারল্যান্ড। এবার সেই ট্রেন্ড বদলাল। নেইমারের অনুপস্থিতিতে প্রথম একাদশে সুযোগ পান ফ্রেড। দানিলোর জায়গায় খেলেন মিলিতো। ফ্রেডকে মাঝমাঠে খেলিয়ে পাকুয়েতাকে ওপরে রিচার্লিসনের সঙ্গে জুড়ে দেন তিতে। অন্যদিকে দলের সেরা ফুটবলার শাকিরিকে বাইরে রেখেই দল সাজান সুইৎজারল্যান্ডের কোচ। প্রথমার্ধ গোলশূন্য। ব্রাজিলের প্রথম সুযোগ ম্যাচের ১৮ মিনিটে। পাকুয়েতার মাইনাসে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ রিচার্লিসন।

    মূলত উইং দিয়েই সেলেকাওরা আক্রমণে উঠছিল। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি রাফিনহার ক্রস থেকে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের ডান পায়ের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচায় সুইস কিপার সোমার। ফরোয়ার্ড হিসেবে শুরু করলেও মাঝমাঠে নেমে খেলতে দেখা যায় পাকুয়েতাকে। কিন্তু ব্রাজিলীয়দের খেলা তৈরির জায়গা দেয়নি সুইস ডিফেন্ডাররা। বক্সের মধ্যে পায়ের জঙ্গলে হারিয়ে যায় যাবতীয় আক্রমণ। ম্যাচের ৩১ মিনিটে রাফিনহার শট সরাসরি তালুবন্দী করেন সুইৎজারল্যান্ডের গোলকিপার। সার্বিয়া ম্যাচেও বিরতিতে স্কোর গোলশূন্য ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে ওঠে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।‌ এদিনও খানিকটা তেমনই হল। তবে যথেষ্ট লড়াই করে সুইসরা।

    বিরতিতে পাকুয়েতার পরবর্তী রদ্রিগোকে নামান তিতে। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে প্রায় গোল পেয়ে গিয়েছিল সুইৎজারল্যান্ড। বিপজ্জনক পজিশনে বল পান ভার্গাস। নীচে নেমে রক্ষণকে সাহায্য করতে দেখা যায় ভিনিসিয়াসকেও। প্রথম ম্যাচে ভিনিসিয়াস-রিচার্লিসনের জুটিতে গোল এসেছিল। এদিনও তার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারত। কিন্তু ম্যাচের ৫৭ মিনিটে প্রথমজনের ক্রসে আবার পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ সার্বিয়া ম্যাচের সেরা। গোলের জন্য অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হলেও আধিপত্য ছিল ব্রাজিলের। খেলার ৬৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। কিন্তু ভার প্রযুক্তির সাহায্যে অফসাইডের জন্য গোল বাতিল হয়ে যায়। উচ্ছ্বাসে ফুটন্ত স্টেডিয়াম মুহূর্তের মধ্যে স্তব্ধ হয়ে যায়। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন করেন তিতে। রিচার্লিসন এবং রাফিনহার বদলে গাব্রিয়াল জেসুস এবং অ্যান্টনিকে নামান ব্রাজিলের কোচ। শেষ কোয়ার্টারে আক্রমণও বাড়ে। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ব্রাজিলকে পরের রাউন্ডে তোলেন ক্যাসেমিরো। তবে এই ব্রাজিল দেখিয়ে দিল ব্যক্তি বিশেষ নয়, দলগত ফুটবলেই সাফল্য। তবে বিশেষ কয়েকটা জায়গা নিয়ে ভাবতে হবে প্রফেসরকে। 
  • Link to this news (আজকাল)