• লোকসভা ভোটের আগেই ৪৯ লক্ষ বাড়ি তৈরিতে মরিয়া রাজ্য আবাস প্লাস প্রকল্প
    বর্তমান | ২৯ নভেম্বর ২০২২
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ১১ লক্ষ নয়। টার্গেট ৪৯ লক্ষ।  দ্বিতীয় পর্যায়ে আবাস যোজনা (নাম আবাস প্লাস) প্রকল্পে ৪৯ লক্ষ উপভোক্তার নাম আগেই তালিকাভুক্ত করেছে রাজ্য। যার মধ্যে মাত্র ১১ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে একমাসের মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়ার শর্ত বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। এই কাজ ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করে বাকি ৩৮ লক্ষ তালিকাভুক্ত উপভোক্তাদের জন্যেও কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আনার লক্ষ্যে এখন থেকে ঝাঁপাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ইতিমধ্যে ৪৯ লক্ষ সম্ভাব্য উপভোক্তার জেলাভিত্তিক তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রথম দফায় ১১ লক্ষের বণ্টন প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে শেষ করেই পরের পর্যায়ের কাজের জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীন ২০২৪-র মধ্যে বাংলাতেই দেশে সর্বাধিক বাড়ি তৈরি হওয়ার কথা।  

    আবাস যোজনা প্রকল্পে গ্রামীণ এলাকায় নতুন করে ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরি করতে সদ্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ করা হয়েছে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। আসলে ৪৯ লক্ষ বাড়ির জন্য রাজ্যের প্রাপ্য মোট প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা। যেহেতু এই প্রকল্পে রাজ্য ৪০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করে, বাংলায় আগামী দিনে শুধুমাত্র গ্রামীণ বাড়ির তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্যে প্রায় তৃণমূল স্তরে মানুষের উপকারে খরচ হতে চলেছে  প্রায় ১০০ কোটি টাকা। 

    পঞ্চায়েত ভোট সামনেই। তার আগে প্রথম দফায় বরাদ্দ হওয়া ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরি যেমন ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলতে পারে, ঠিক একইভাবে বাকি ৩৮ লক্ষ বাড়ি গ্রামীণ এলাকায় পরবর্তী লোকসভা ভোটের ইস্যু হতে পারে। প্রসঙ্গত, মোট ৪৯ লক্ষ বাড়ির কাজ শেষ করার সময়সীমা ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষই। ৪৯ লক্ষের মধ্যে প্রথম দফায় ১১ লক্ষ উপভোক্তা চিহ্নিত করার কাজে নেমেছে রাজ্য। কেন্দ্রীয় নিয়ম মেনেই উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি করছে রাজ্য। প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে। একইভাবে ঝাড়াই-বাছাই করে বাকি ৩৮ লক্ষের জন্যেও গ্রামসভার মাধ্যমে অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি করবে রাজ্য। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, তালিকা নিয়ে আমাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। নির্দেশ পাওয়ামাত্রই সব ব্লকে কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এদিকে, আবাস যোজনায় পুরনো বরাদ্দের মধ্যে অনেকটাই শেষ হয়ে গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, মোট ৩৪ লক্ষ ৬৮ হাজারের মধ্যে ৩৩ লক্ষ ৮৬ হাজার বাড়ির কাজ হয়ে গিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)