• কয়েক গুণ হয়েছে বিধবা ও বয়স্ক ভাতা প্রাপকের সংখ্যা জানালেন শশী পাঁজা
    বর্তমান | ২৯ নভেম্বর ২০২২
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যে বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা প্রাপকদের সংখ্যা বহু গুণ বেড়েছে। সোমবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে পরিসংখ্যান সহাকারে একথা জানিয়েছেন, রাজ্যের মহিলা, শিশু ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। রাজ্য সরকারের নিজস্ব তহবিলের টাকায় সমাজ কল্যাণ দপ্তরের প্রকল্প চলছে। বয়স্কদের আর্থিক অনুদানের একটি প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার আংশিক আর্থিক দায় নেয়। সেটি পরিচালনার দায়িত্ব পঞ্চায়েত দপ্তরের। বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী প্রশ্ন তোলেন, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার একই ধরনের প্রকল্পে আর্থিক অনুদান দেয় সেখানে রাজ্য সরকারের আলাদা প্রকল্প রাখার কারণ কী? শশী পাঁজা বলেন, রাজ্য সরকারের প্রকল্পটি অনেক বছর ধরে চলছে। আর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সুবিধা শুধু দারিদ্র্যসীমার নীচের মানুষের জন্য। রাজ্যের প্রকল্পে এরকম কোনও বাছবিচার নেই। প্রয়োজনের ভিত্তিতে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।

    শশী পাঁজা বিধানসভায়  জানান, ২০১৯ সালের আগে তাঁর দপ্তরের বয়স্ক ভাতা পেতেন ৮৩ হাজার ৭৩৮ জন। সংখ্যাটি বেড়ে হয়েছে ১৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৫৭। প্রাপকের সংখ্যা ২০.২ গুণ বেড়েছে। এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের খরচ হয় বছরে ২০২৭ কোটি টাকা। পঞ্চায়েত ও পুরসভার   মাধ্যমে বয়স্কদের ভাতা দেওয়ার যে প্রকল্পটি রাজ্য ও কেন্দ্রের আর্থিক অনুদানে চলে তার প্রাপকের সংখ্যা ১২ লক্ষ ৮১ হাজার। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যা আগে ছিল ১৪ লক্ষ। বিধবা ভাতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, বাম আমলে প্রাপকের সংখ্যা ছিল ৪৯ হাজার ৬৮৭। তা এখন বেড়ে ১৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে। বিধবা ভাতা প্রাপকের সংখ্যা ৩২ গুণ বেড়েছে। 

    কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য বিশেষ আর্থিক অনুদান দিতে ‘মানবিক’ প্রকল্পটি চালু করেন। মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন এখন ৬ লক্ষ ২৭ হাজার জন। ৪০ শতাংশ বা তার বেশি প্রতিবন্ধকতা থাকলে এই ভাতা পাওয়া যায়। এই প্রকল্পটিও চলে পুরোপুরি রাজ্য সরকারের খরচে। এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে নদীয়ার হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার বলেন, তাঁর এলাকায় সাড়ে চারশোজন আবেদন করেও বয়স্ক ও বিধবা ভাতা পাচ্ছেন না। মন্ত্রী বলেন, কোটা অনুযায়ীই ভাতা দেওয়া হচ্ছে। নদীয়া জেলায় বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রাপকদের সংখ্যা সভায় জানান মন্ত্রী।
  • Link to this news (বর্তমান)