• চা বাগানের জন্য কেন্দ্রীয় অনুদান কোথায়? বিজেপিকে খোঁচা শিল্পমন্ত্রীর
    বর্তমান | ২৯ নভেম্বর ২০২২
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের চা বাগানগুলির উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার যে এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ অনুদান ঘোষণা করেছিল তার কী হল? সোমবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এই প্রসঙ্গ তুললেন রাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী শশী পাঁজা। বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী এদিন বলেন, অনেক চা বাগানে জমির লিজ শেষ হয়ে গিয়েছে। সেখানে জমি নিয়ে অনিয়ম চলছে। জমি মাফিয়ারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জমি সংক্রান্ত বিষয়টি অন্য দপ্তরের হওয়ায় শশী পাঁজা এই প্রসঙ্গে কিছু বলেননি। তিনি পাল্টা চা বাগানের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদানের প্রসঙ্গ তোলেন। 

    চা বাগান সম্পর্কিত অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, এখানকার শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বাম সরকারের সময় ছিল ৬৭ টাকা। তা বেড়ে এখন ২৩২ টাকা হয়েছে। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গড়া হয়েছে। এই কমিটিতে চা বাগান মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা আছেন। কমিটি ১৭ বার বৈঠক করেও এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। বিজেপির বিশাল লামা প্রশ্ন তোলেন, চা বাগান শ্রমিকদের মজুরি কেন মাসিক ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে না? শিল্পমন্ত্রী এদিন বিধানসভায় জানান, রাজ্যের ১৩টি বড় শিল্প স্থাপনের  তালুক আছে। সেখানে মোট জমির পরিমাণ ১০,৭২৭ একর। বিভিন্ন পরিকাঠামো নির্মাণের পর শিল্পের জন্য যে জমি হাতে রয়েছে তার পরিমাণ ৯,৭৭২ একর। বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল আলিপুরদুয়ার ও জয়গাঁওতে প্রস্তাবিত শিল্প বিকাশ কেন্দ্র নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, এটা ছোট-মাঝারি শিল্পদপ্তরের আওতাধীন। এব্যাপারে ওই দপ্তরই বলতে পারবে। পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র না পাওয়ার জন্য শিল্প আলিপুরদুয়ার থেকে জলপাইগুড়িতে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক। মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় প্রয়োজন অনুযায়ী দূষণ সংক্রান্ত ছাড়পত্র নিয়ে শিল্প করতে  হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)