• অর্থের জোরালো দাবি রাজ্যগুলির চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ২৮ হাজার কোটি বরাদ্দ
    বর্তমান | ২৯ নভেম্বর ২০২২
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: কথা ছিল ২০২২ সালের মধ্যে সকলের মাথার উপর ছাদ হবে। অর্থাৎ ভারতে সকলের জন্য ঘর প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। মোদি সরকারের অন্য অনেক প্রকল্পের মতোই (সকলের ঘরে পানীয় জল, বছরে ২ কোটি চাকরি ইত্যাদি) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ। ২০২২ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। এমনকী ২০২৪ সালেও পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা সফল হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ, যতটা প্রতিশ্রুতি এবং প্রচারের গর্জন আছে, সেই অনুপাতে আর্থিক সহায়তা তথা বাজেট বরাদ্দের প্রবণতা কম। তাই বহু রাজ্যে প্রকল্প সমাপ্ত হচ্ছে না। বিভিন্ন রাজ্যই কেন্দ্রকে চিঠি লিখে বলেছে আরও অর্থ দিতে হবে। 

    আর্থিক বরাদ্দের অভাবে কাজ বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি জেনে চরম অস্বস্তিতে মোদি সরকার। তাই চাপে পড়ে কেন্দ্র স্থির করেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) প্রকল্পে আরও ২৮ হাজার কোটি টাকা নতুন করে বরাদ্দ করা হবে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের বাজেটে এই প্রকল্পে ঘোষণা করা হয়েছিল ২০ হাজার কোটি টাকার সামান্য বেশি। ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে মোট তিন কোটি বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল।  ২ কোটির কিছু বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় ৮৫ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ শেষ হয়নি। চলতি আর্থিক বছরের বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০ লক্ষ আবাস নির্মাণ। কিন্তু এর আগে কোনও বছরেই  লক্ষ্যমাত্রাই পূরণ করা যায়নি। যেমন পূর্ববর্তী বছরে অর্থাৎ ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ। কিন্তু সম্ভব হয়েছে ৪০ লক্ষ। 

    প্রায় প্রতিটি সভা সমাবেশ ও সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বারবার সকলের জন্য ঘর ও সকলের জন্য পানীয় জলের প্রকল্পকে সরকারের প্রধান সাফল্য ঩হিসেবে প্রচার করেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে সমতল এলাকায় নির্মাণ ব্যয়ের ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য দেয় বাকি ৪০ শতাংশ। 

    এই প্রকল্পে শুধুই আর্থিক বরাদ্দকেই একমাত্র  প্রকল্প রূপায়ণের অঙ্গ হিসেবে রাখা হয়নি। বিগত বছরগুলিতে প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নির্মাণকারী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ, বাড়ির নকশা নির্মাণের তুলনামূলক অনুমোদন পর্ব, বাড়ি নির্মাণের প্রতিটি ধাপেই মনিটরিং অথরিটির আওতায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ ইত্যাদি। কিন্তু আসল যে জোগান অর্থাৎ অর্থ, সেটিই অনিয়মিত ও যথেষ্ট না হওয়ায় রাজ্যগুলিতে আটকে রয়েছে কাজ। সেই কারণে লাগাতার দাবি করা হয়েছে অর্থবরাদ্দের। 
  • Link to this news (বর্তমান)