• গুজরাতে অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা দেখেই ক্ষমতায় ফেরার স্বপ্ন ছাড়ছে কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাচ্ছে আপ
    বর্তমান | ২৯ নভেম্বর ২০২২
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: গুজরাতে ক্ষমতায় আসার কথা ভাবছেই না কংগ্রেস। তাদের লক্ষ্য গতবারের চেয়ে ভালো ফল করা। অথবা গতবারের ফলাফলই ধরে রাখা। আম আদমি পার্টি এবার গুজরাতে ঝাঁপ দেওয়ায় চাপে পড়ে গিয়েছে কংগ্রেস। দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় গ্রামের দিকে কংগ্রেসের ফল ভালো হবে বলে আভাস মিললেও, শহরাঞ্চলে তেমন আশা দিচ্ছে না। কংগ্রেসের ভোটের ওপরই সেখানে আম আদমি পার্টি থাবা বসাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির তাবড় নেতারা যেভাবে গুজরাতে প্রচার করছেন, তাতে কংগ্রেসের মনোবল দুর্বল হচ্ছে। কারণ, সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মতো তারকা প্রচারকের নাম নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলেও প্রচারে ঝড়ই নেই। আজ প্রথম দফার ভোট প্রচারের শেষদিন। অথচ স্রেফ রাহুল গান্ধী দু’দিন প্রচার সেরেছেন গুজরাতে। সোনিয়া গান্ধী প্রচারে যাবেন না বলেই এআইসিসি সূত্রে খবর। হিমাচল প্রদেশের ভোটে জোরদার প্রচার করলেও গুজরাতে এখনও যাননি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। 

    তাই কংগ্রেসের প্রদেশ নেতৃত্বের একাংশ হাইকমান্ডের ওপর অসন্তুষ্ট। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে অসন্তোষের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন বটে, তবে তা তেমন কাজে দিচ্ছে না। তারউপর রাজস্থানে অশোক গেহলট-শচীন পাইলট যে বিবাদ চলছে, তার কুপ্রভাবও গুজরাতে পড়ছে বলেই প্রদেশ কংগ্রেসের মত। অশোক গেহলট হলেন গুজরাতে দলের ইনচার্জ। সব মিলিয়ে গুজরাতে চাপে কংগ্রেস। 

    ১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাত বিধানসভায় গতবার (২০১৭ সালে) ১৭৭ আসনে প্রার্থী দিয়ে ৭৭টিতে জিতেছিল কংগ্রেস। ভোট পেয়েছিল ৪২.৯৭ শতাংশ। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি গতবারও লড়েছিল গুজরাতে। ২৯ আসনে প্রার্থী দিয়ে একটিতেও জিততে পারেনি। প্রত্যেকেরই জমানত জব্দ হয়েছিল। 

    এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। আঞ্চলিক দল হয়েও দুটি রাজ্যে ক্ষমতায় আসার মতো ইতিহাস তৈরি করেছে আপ। দিল্লির পাশাপাশি আপের শাসনে চলছে পাঞ্জাব। কংগ্রেসকে হটিয়ে পাঞ্জাবে ক্ষমতায় এসেছে। এবার নরেন্দ্র মোদিকে পরোক্ষে চ্যালেঞ্জ জানাতে গুজরাতে ঝাঁপিয়েছেন কেজরিওয়াল। কংগ্রেসের ভোটে ভাগ বসাচ্ছেন। তাই ক্ষমতায় আসা তো দূরের কথা, গতবারের ফল ধরে রাখাই এখন কংগ্রেসের কাছে চ্যালেঞ্জ।
  • Link to this news (বর্তমান)