• দূষণের ১০ ‘হটস্পট’ শহরে
    বর্তমান | ২৯ নভেম্বর ২০২২
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বায়ুদূষণের নিরিখে কলকাতা মোটেও স্বস্তিজনক অবস্থানে নেই। একাধিক গবেষণা থেকে বিশেষজ্ঞরা এমনটাই জানিয়েছেন। শীতের শুরুতে দিল্লির যে হাল হয়, সেই পরিস্থিতি কলকাতায় হওয়ার আশঙ্কাও প্রবল। কালীপুজো কিংবা ছটপুজোর সময় আতসবাজি পোড়ানো  নিয়ন্ত্রণ করে তখনকার পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গোটা শীতকাল বাকি। তাই দিনে দিনে শহরের বাতাসে দূষণের পরিমাণ ক্রমেই বাড়বে। তাই সমীক্ষা করে শহরের এমন ১০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলি বায়ুদূষণের নিরিখে ‘হটস্পট’। ওই জায়গাগুলিতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। সেখানে রাস্তা, গাছপালায় জল ছিটানোর পাশাপাশি ফাঁকা অংশে জল ‘স্প্রে’ করে ধূলিকণার পরিমাণ কমানোর কাজ চলছে। গোটা শীতের মরশুমে এই কাজ চলবে বলেই জানিয়েছে কলকাতা পুরসভা।

    মানিকতলা মেইন রোড, ক্যানাল সাউথ রোড, জে বি এস হ্যালডেন অ্যাভিনিউ, ক্রিস্টোফার রোড, ডায়মন্ডহারবার রোড, মনমোহন ব্যানার্জি রোড সহ মোট ১০টি রাস্তা এই তালিকার মধ্যে রয়েছে। এসব রাস্তার কিছু অংশ সংলগ্ন এলাকাকে ‘হটস্পট’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে নিয়মিত ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার এবং মিস্ট ক্যানন দিয়ে জল স্প্রে করা হচ্ছে। এর জন্য কাজে লাগানো হয়েছে মোট ৫২টি ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার এবং মেকানিক্যাল সুইপার। এর বাইরে শহরের সর্বত্রই কমবেশি রাস্তা ধোয়া, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা কমানোর চেষ্টা চলছে। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, রোজ ৫০০ কিলোমিটার রাস্তায় কাজ করছে গাড়িগুলি। আমরা আরও ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার, আধুনিক মানের মেকানিক্যাল সুইপার এবং নির্মাণবর্জ্য সরানোর জন্য আধুনিক ডাম্পার কিনছি। ডিসেম্বর থেকে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই পুর কর্তৃপক্ষের হাতে এগুলি চলে আসবে। 

    কলকাতার বাতাসে ধূলিকণা, কার্বনকণা কিংবা অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাসের উপস্থিতি কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের একমাত্র অস্ত্র ছিল সবুজ বৃদ্ধি। সেই কাজও সেভাবে হয়নি। গাছপালার সংখ্যা গত ক’বছরে হু হু করে কমেছে কলকাতায়। বৃক্ষরোপণের কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা দূষণ ঠেকানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়। বাধ্য হয়েই বায়ুদূষণ ঠেকাতে অন্য পন্থা নিতে হচ্ছে। গাছে, রাস্তায়, বাতাসে জলকণা স্প্রে করে দূষণ কমানোর চেষ্টা তারই অংশ। 
  • Link to this news (বর্তমান)