• ভাইয়ের জন্য কাপ জিততে চান থিয়ো ২৯ নভেম্বর ২০২২ ০৭:১৭
    আনন্দবাজার | ২৯ নভেম্বর ২০২২
  • অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ডিফেন্ডার লুকাস হার্নান্ডেজ়কে নামিয়েছিলেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ে দেশঁ। কিন্তু খেলার মাঝে হাঁটুতে চোট পেয়ে উঠে যান লুকাস। তাঁর জায়গায় নামেন লুকাসেরই ভাই থিয়ো। সে সময় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ০-১ পিছিয়ে ছিল ফ্রান্স। এর পরে থিয়োর পাস থেকেই ১-১ হয়। ফ্রান্সও ৪-১ ম্যাচ জেতে। ডেনমার্কের বিরুদ্ধেও থিয়ো একটি গোল করতে সাহায্য করেছেন।

    ভাইয়ের বিকল্প হিসেবে খেলতে কী রকম লাগছে? ফ্রান্সের অনুশীলনের পরে সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে থিয়ো বলেন, ‘‘আমি দু’জনের হয়েই খেলছি। আমার জন্য এবং আমার ভাইয়ের জন্যও। আমার সুযোগ পাওয়ার কথা শুনে লুকাস খুব গর্বিত হয়েছিল। লুকাস ভাল করলে আমিও খুব গর্বিত হই।’’ ভাইয়ের চোট নিয়ে থিয়ো বলেছেন, ‘‘ওর পক্ষে ব্যাপারটা খুব সহজ নয়। লুকাসকে বেশ কয়েক দিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে। ওর জায়গায় মাঠে নামাটা আমার পক্ষেও খুব সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু যা করার তা তো করতেই হবে।’’

    থিয়ো এখন তাঁর ভাইয়ের জন্য বিশ্বকাপটা জিততে চান। এই নিয়ে লুকাসের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত কথাও হয় বলে জানিয়েছেন ফরাসি লেফটব্যাক। থিয়োর কথায়, ‘‘চোট পেয়ে অনুশীলন ক্যাম্প থেকে চলে যাওয়ার পরে প্রতিদিন আমাদের মধ্যে কথা হয়। আমাদের এখন প্রতিটা ম্যাচ জিততে হবে। লুকাসের কাছে কাপটা নিয়ে যেতে হবে। লুকাস বলেছে, কাপটা নিয়ে ফিরতেই হবে।’’ দুই ভাই রক্ষণে খেললেও থিয়ো মনে করেন, তাঁদের দু’জনের খেলার ধরনটা আলাদা। থিয়োর কথায়, ‘‘আমরা দু’জনেই ডিফেন্ডার হলেও দু’ধরনের ফুটবল খেলি। আমি একটু বেশি আক্রমণে উঠি। লুকাস আবার রক্ষণ সামলাতে বেশি পছন্দ করে।’’

    এই লেফটব্যাকের পাস থেকেই ডেনমার্কের বিরুদ্ধে প্রথম গোলটা করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। যা নিয়ে থিয়ো বলেছেন, ‘‘কিলিয়ানের সঙ্গে খেলতে পারাটা একটা গর্বের বিষয়। আমি পরের ম্যাচটাও খেলতে চাই। কিন্তু সেটা পুরোপুরি নির্ভর করবে কোচের উপরে।’’

    এ সি মিলানের হয়ে খেলা এই ফুটবলার পরিচিত তাঁর দ্রুত গতির জন্য। এমনকি, দ্রুতগতির গাড়ির সঙ্গেও থিয়োর তুলনা করা হয়। তিনি না এমবাপে, কে বেশি দ্রুত? প্রশ্নের জবাবে ফরাসি ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘‘কে বেশি দ্রুত? এটা বলব, এমবাপের গতি দারুণ। ওর সঙ্গে খেলাটা খুব সহজ। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটাও ভাল।’’ যোগ করেছেন, ‘‘বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার পরে আমরা আরও ফুরফুরে। আশা করি, এ ভাবেই চালিয়ে যাব।’’

  • Link to this news (আনন্দবাজার)