সম্প্রতি বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে যাওয়া নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে যথেষ্ট ‘চর্চা’ শুরু হয়। শুভেন্দু নিজে বিষয়টিকে ‘সৌজন্য’ বলে দাবি করলেও বাম-কংগ্রেস এই ঘটনায় সেটিংয়ের গন্ধ পেয়েছিল। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলেছিলেন, “ওদের পুরনো সম্পর্ক। অনেকে কালীঘাটে গিয়ে প্রণাম করেন। উনি ওখানে (বিধানসভায়) করেছেন।” এর পরে দিব্যেন্দু অধিকারীর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে শান্তিকুঞ্জে চা-পানের আমন্ত্রণের ঘটনায় ফের শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপি যুক্তি দিয়েছে, উনি (দিব্যেন্দু অধিকারী) তৃণমূলের সাংসদ। আর শুভেন্দুও ‘সৌজন্য সাক্ষাতে’র পরের দু’দিনে ওই বৈঠকের ব্যাখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করে অবস্থান স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।
চিঠি প্রসঙ্গে রাজকমল বলেন, “কারও নাম উল্লেখ করে কিছু লিখিনি। দলের কাছে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার অনুরোধ করেছি।” রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়, সৌজন্য সৌজন্যের জায়গায়।’’