• স্কুলের জলে মিশেছে মদ, ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার বোতল
    আনন্দবাজার | ২৩ জুন ২০২৪
  • স্কুলের পানীয় জলের ট্যাঙ্কে মদের বোতল!

    ছোট ছোট ছাত্রদের মুখে শনিবার পানীয় জলে অন্য রকম গন্ধের কথা শুনে প্রথমে বিশ্বাস করছিলেন না আরামবাগের মুথাডাঙা চক্রের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। নিজেরা সেই জল খেয়ে প্রথমে মদের গন্ধ পান। তারপরে একতলা স্কুলভবনের ছাদের ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে সেখান থেকে অর্ধেক মদভর্তি ছিপিআঁটা একটি বোতল উদ্ধার করেন। ঘটনার জেরে গ্রামে শোরগোল পড়ে। স্কুলে মিড-ডে মিল বন্ধ থাকে।

    শিক্ষকেরা মনে করছেন, হয় কেউ মদ ট্যাঙ্কের জলে মিশিয়েছে, নয়তো বোতল থেকে চুঁইয়ে মদ বেরিয়ে জলে মিশেছে। প্রধান শিক্ষক বলেন, “বিষয়টি স্কুলের গ্রাম শিক্ষা কমিটি, অভিভাবকদের এবং স্কুল পরিদর্শককে জানানো হয়েছে। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেই এ দিন মিড-ডে মিল রান্না বন্ধ রাখা হয়।” গ্রাম শিক্ষা কমিটির তরফে বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়েছে।

    মুথাডাঙা চক্রের স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) বিশ্বজিৎ গনাই বলেন, ‘‘শুক্রবার রাতে বা সন্ধ্যায় স্কুলের জলের ট্যাঙ্কে কেউ মদের বোতল ফেলেছে বলে শুনেছি। বোতলটিও উদ্ধার হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তা নিয়ে আগামী সোমবার অভিভাবক এবং গ্রাম শিক্ষা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক ডাকতে বলেছি স্কুল কর্তৃপক্ষকে।”

    স্কুলটিতে কোনও সীমানা-প্রাচীর নেই। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৯১। চার জন শিক্ষক এবং এক জন পার্শ্বশিক্ষক আছেন। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে স্কুল শুরু হয়। পড়ুয়ারা এসে মুখ-হাত ধোওয়ার সময়েই জলে গন্ধ পেয়ে শিক্ষকদের বলে। কিছুক্ষণের গ্রামে খবর ছড়িয়ে পড়ে। গুজব রটে, স্কুলের জল খেয়ে ছেলেরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অভিভাবকেরা স্কুলে ভিড় করেন। সাময়িক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

    অভিভাবকদের অভিযোগ, আগে একাধিকবার স্কুল চত্বরে খালি মদের বোতল মিলেছে। পরপর এমন ঘটনায় শিশুদের কাছে খারাপ বার্তা যাচ্ছে। স্কুল রক্ষনাবেক্ষণে গ্রাম শিক্ষা কমিটির যে ভূমিকা থাকার কথা, তা নেই। গ্রাম শিক্ষা কমিটির সভাপতি জয়ন্তী প্রতিহার বলেন, “স্কুলের প্রাচীর নির্মাণের জন্য অনুমোদন এবং তহবিলের আবেদন করা আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই সব অন্যায় রুখতে গ্রামবাসীদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।”

  • Link to this news (আনন্দবাজার)