• গোড়ায় হোঁচট ভর্তি-পোর্টালে
    আনন্দবাজার | ২৫ জুন ২০২৪
  • রাজ্যের সিংহভাগ কলেজে ভর্তির জন্য কেন্দ্রীয় অভিন্ন পোর্টালে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হতেই একের পর এক অভিযোগ উঠল সোমবার। অনেকেরই অভিযোগ, সকাল থেকে তাঁরা প্রথম চেষ্টায় ভর্তির আবেদনের রেজিস্ট্রেশনই করতে পারেননি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে হতে বিকেল গড়িয়ে গিয়েছে। উচ্চশিক্ষা দফতরের একটি সূত্রও মেনে নিয়েছে যে, প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা ছিল। দ্রুত তার সমাধান করা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত ৪২ হাজার ৫৮৯ জন নাম নথিভুক্ত (রেজিস্ট্রেশন) করেছেন। এবং মোট এক লক্ষ ছ’হাজার ৮৩৪টি আবেদন জমা পড়েছে। প্রসঙ্গত, নাম নথিভুক্ত করার পরে এক জন আবেদনকারী সর্বোচ্চ ২৫টি আবেদন করতে পারেন।

    কলেজে ভর্তির আবেদনকারীদের অনেকেই জানান, প্রথমে ওই পোর্টালে নিবন্ধীকরণ বা রেজিস্ট্রেশনের জন্য তাঁদের নিজস্ব মোবাইল নম্বর এবং ই-মেল আইডি দিতে হয়েছে। ওই নম্বর এবং ই-মেলে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ‘ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড’ (ওটিপি) আসার কথা। কিন্তু অভিযোগ, মোবাইল নম্বরে ওটিপি এলেও ই-মেলে তা আসছিল না। তার ফলে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা যায়নি। আরও অভিযোগ, ভর্তির পোর্টাল সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বরে কেউ ফোন ধরছিলেন না। সমস্যার কথা নির্দিষ্ট ই-মেল আইডিতে জানালেও জবাব আসেনি।

    আবেদনকারীদের একাংশ অবশ্য এ-ও জানান, দুপুরের পর থেকে সমস্যা কমতে শুরু করেছিল। জিৎ ঘোষ নামে এক আবেদনকারী বলেন, “প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টার পরে শেষ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করতে পেরেছি। তবে মোবাইলে ওটিপি এসেছে, ই-মেলে আসেনি। ইমেলে ওটিপি আসছে না দেখে, মোবাইলের ওটিপি দুই জায়গায় লিখে দেখি রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হয়ে গেল।” তবে এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আরও সহজ হওয়া দরকার ছিল বলেও দাবি করেছেন আবেদনকারীদের অনেকে।

    এ দিনের সাময়িক ‘বিভ্রাটের’ পরে এসএফআইয়ের রাজ্য সহ-সভাপতি শুভজিৎ সরকার জানান, তাঁরা পাড়ায়-পাড়ায় প্রায় ৫০০ হেল্প ডেস্ক খুলেছেন। সেখানে আবেদনকারীদের সাহায্য করা হচ্ছে। ডিএসও-র রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় কেন্দ্রীয় পোর্টালের বদলে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক পোর্টাল খুলে ভর্তির দাবি জানিয়েছেন।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)