লোকসভা ভোটের মাঝে ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবের (দীপক অধিকারী) এক ‘প্রতিনিধি’র বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ আগেই উঠেছিল। হাই কোর্টে সে নিয়ে মামলাও হয়। কিন্তু পরে টাকা পেয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করে অভিযোগকারীই ‘পিছিয়ে গিয়েছেন’! একই অভিযোগে আবার মামলা হয় উচ্চ আদালতে। তখন সাংসদ দেবের প্রতিনিধি রামপদ মান্না নন, স্বয়ং দেবের বিরুদ্ধেও মামলা করেন বাপ্পাদিত্য ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। মামলাকারীর দাবি ছিল, দেব এবং তাঁর ‘প্রতিনিধি’র বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সিবিআই তার তদন্ত করুক।
ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি অডিয়ো ক্লিপ পোস্ট করেছিলেন। (সেই অডিয়ো ক্লিপটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।) ওই ভিডিয়োর কথা উল্লেখ করেই মামলা করেছিলেন বাপ্পার মামলাকারী। তাঁর হয়ে সওয়াল করেছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
সেই মামলা নিয়ে সিবিআইয়ের অবস্থান জানতে চাইল আদালত। লোকসভা ভোটের সময় দেবের প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী হিরণ একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। সেখানে মূলত একটি অডিয়ো ক্লিপ ছিল। হিরণ দাবি করেছিলেন সেখানে একটি কণ্ঠ হল দেবের। তাঁর এক সহযোগী চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলতেন বলে দাবি হিরণের। তিনিও দাবি করেছিলেন এ নিয়ে সিবিআই তদন্ত করা দরকার।
এর আগে প্রাথমিক ভাবে দেব বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন কোনও মহিলার সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি। পাঁশকুড়ায় ভোটপ্রচারে গিয়ে দেব বলেছিলেন, ‘‘সবংয়ে যে ঘটনা হয়েছে তা বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে ভাইরাল অডিয়ো নিয়ে আমি এফআইআর করছি। রাজনীতিতে খারাপ কথা বলাটা বিজেপির নিয়ম হয়ে গিয়েছে।’’ সেই সঙ্গেই তিনি এ-ও বলেন, ‘‘ইডি, সিবিআই, এফবিআই যেখানে যা আছে, ডাকা হোক। ফেক অডিয়ো আনা হচ্ছে। তাদের এ বার চিহ্নিত করতে হবে। সেটাই করা হবে।’’
বুধবারের শুনানিতে মামলাকারীর পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। দেবের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের আইনজীবী অমাজিৎ দে।