এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘হকার হোক বা স্থায়ী দোকানের মালপত্র মজুত করা, পথ আটকে ব্যবসা করার অধিকার কারও নেই।’’
রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে দোকানের কারণে ঘটকপুকুর বাজারে যানজট নিয়ে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনেকেই আবার নিজের স্থায়ী দোকানের সামনে রাস্তার অংশ দখল করে পসরা সাজাতেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী শেখ আলম বলেন, ‘‘পুলিশ এতটাই সক্রিয় যে আমাদের ব্যবসা প্রায় লাটে ওঠার দশা।’’ এক হকার বলেন, ‘‘শাসক দলের নেতারা টাকার বিনিময়ে আমাদের ঘটকপুকুর স্কুলের পাঁচিলের বাইরে রাস্তার পাশে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এখন পুলিশ প্রশাসন আমাদের উঠে যেতে বলছে। কোথায় যাব?’’ ঘটকপুকুর বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘তৃণমূল ভাঙড়ের যে সব এলাকায় কম ভোট পেয়েছে, সেখানেই সরকারি জায়গা জবরদখল মুক্ত করার নামে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের মতো গরিব মানুষদের সরিয়ে দিতে চাইছেন।’’
ঘটকপুকুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য তথা ভাঙড় ১ ব্লকের আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি আয়নাল মোল্লার দাবি, ‘‘হকারদের কাছ থেকে ব্যবসায়ী সমিতি কোনও দিন এক টাকাও নেয়নি। হকারদের উচ্ছেদ করা হয়নি। যাঁরা রাস্তার ধারে বেআইনি ভাবে দোকান সম্প্রসারণ করেছিলেন, তাঁদের মালপত্র সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। যাতে চলাচলের পথ প্রশস্ত হয়।’’