আরজি কর: রাজ্যের সব হাসপাতালের বহির্বিভাগে বুধবার পরিষেবা বন্ধের ডাক চিকিৎসক সংগঠনের
আনন্দবাজার | ১৩ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এ বার রাজ্যের সব হাসপাতালের বহির্বিভাগে পরিষেবা বন্ধের ডাক দিল চিকিৎসক সংগঠন। বুধবারের জন্য বাংলার সব ক’টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ওপিডি পরিষেবা বন্ধের ডাক দিয়েছে রাজ্যের জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস। শুধু তাই নয়, হাসপাতালে জরুরি নয় এমন সব পরিষেবাও বন্ধ রাখার ডাক দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলেই আরজি করের বক্ষরোগ বিভাগে সংস্কারের কাজ হয়েছে। যে অকুস্থলে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছে, সেই সেমিনার হলের উল্টো দিকের ঘরই ভাঙা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসক সংগঠনের সন্দেহ, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হতে পারে। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস-এর দাবি, সেই কারণেই বুধবার আট ঘণ্টার কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে তারা। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টে পর্যন্ত রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও জরুরি নয় এমন পরিষেবা বন্ধ রাখার ডাক দিয়েছে ওই চিকিৎসক সংগঠন। ডাক্তারদের ব্যক্তিগত চেম্বারও বুধবার ওই আট ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার কথা বলেছে তারা।
সংগঠনের তরফে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আজ যখন শুনলাম আরজি করের বক্ষরোগ বিভাগে সংস্কারের নামে ভাঙা হচ্ছে, আমরা নিশ্চিত প্রমাণ লোপাটের যে আশঙ্কা করেছিলাম তা দৃঢ় হচ্ছে। এই অবস্থায় আমরা সমস্ত সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে ও ব্যক্তিগত চেম্বারে আগামিকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বহির্বিভাগ ও অ-জরুরি পরিষেবা বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি।”
সংগঠনের অন্যতম আহ্বায়ক পুন্যব্রত গুন জানিয়েছেন, “আজ হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দীপ ঘোষকে লম্বা ছুটিতে যেতে হয়েছে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে যতক্ষণ না অপরাধী ধরা পড়ছেন, ততক্ষণ চাপ তৈরির জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের থাকা দরকার।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই হাইকোর্ট আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশের কিছু সময় পরেই টালা থানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শুরু হয়েছে মামলার নথিপত্র হস্তান্তরের প্রক্রিয়া। এ সবের মধ্যেই মঙ্গলবার বিকেলে চাউর হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সংস্কারের কাজ চলছে। বিষয়টি নিয়ে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্সের তরফে জানানো হয় স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে। সূত্রের খবর, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে ওই সংস্কারের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু স্বাস্থ্যসচিবকেই নয়, আরজি করে এই সংস্কারের কাজটি সিবিআইয়ের নজরেও এনেছে চিকিৎসকদের সংগঠন।