• আরজি কর-কাণ্ডে সিবিআই ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে কংগ্রেসে অন্তর্কলহ, উত্তাপ বাড়াল অধীর গোষ্ঠী
    আনন্দবাজার | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে উত্তাল দেশ। সেই আবহে আন্দোলন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব এ বার প্রকাশ্যে এল। বুধবার দুপুরে বড়বাজার জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কলকাতায় সিবিআইয়ের অন্যতম দফতর নিজাম প্যালেস ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়েছে। মূলত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরোধী বলে পরিচিত নেতারা এই কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। নিজাম প্যালেস ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেবেন প্রবীন রাজনীতিক প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক এবং যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সহ-সভাপতি রোহন মিত্র। মঙ্গলবার এই কর্মসূচির যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন অধীর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা। কর্মসূচির স্লোগান হল, ‘সেটিং ছেড়ে বিচার দাও, নইলে সিবিআই ফিরে যাও।’ আর সেই কর্মসূচিতে যে প্রদেশ কংগ্রেসের সায় নেই তা জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

    এই বিবৃতি দিয়েছেন অধীর ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায়। লিখিত বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা আপনারা জানেন আরজি কর-কাণ্ডে মহামান্য কলকাতা হাই কোর্ট এবং সর্বোপরি সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ মতো এবং তত্বাবধানে সিবিআই এই তদন্ত করছে। কলকাতা পুলিশ তথ্য প্রমাণ লোপাট করেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি, বাংলার মানুষের এখন শেষ ভরসা সিবিআই। আমরা সাম্প্রতিক ঘটনায় আশাবাদী যে, সিবিআই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করবে। তাই পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি আপাতত হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের কথা মাথায় রেখে, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও আন্দোলন করছে না এবং কোনও আন্দোলনকে সমর্থন করছে না।” এমন বিবৃতি দিয়ে অধীর শিবির বুঝিয়ে দিয়েছে এখনও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের রাশ তাদের হাতে রয়েছে। তাই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে এড়িয়ে খেয়ালখুশি মতো কোনও কর্মসূচি নেওয়া যাবে না।

    তবে অধীর বিরোধী শিবিরের নেতারা এমন বিবৃতিকে আমল দিতে নারাজ। তাদের কথায়, “আরজি কর-কাণ্ডে আমরা কী ভাবে প্রতিবাদ করব তা কেউ ঠিক করে দিতে পারে না। এই আন্দোলন সময়ের ডাকে। এ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে সাধারণ মানুষ।” প্রসঙ্গত, গত আগস্ট মাসের ২১ তারিখেও অধীর বিরোধী শিবিরের এই নেতারা লালবাজার ঘেরাও কর্মসূচি করেছিলেন। সেই কর্মসূচিতে অধীর শিবিরের কোনও নেতাকে দেখা যায়নি। তবে সিবিআই অফিস ঘেরাওয়ের বিরোধিতা করে যেমন বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তা লালবাজার ঘেরাও কর্মসূচিতে দেওয়া হয়নি।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)