• আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি: সন্দীপের আবেদন খারিজ, সিবিআই তদন্তে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট
    আনন্দবাজার | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই মামলায় হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সন্দীপ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ।

    শুক্রবার সন্দীপের মামলায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, সিবিআই তদন্তের উপর এখনই তারা হস্তক্ষেপ করছে না। এই ঘটনার তদন্ত যে স্বচ্ছ ভাবে হচ্ছে, তা নিশ্চিত করতে হবে কলকাতা হাই কোর্টকে। আদালতে যে মর্মে কথোপকথন চলেছে, তা পর পর তুলে দেওয়া হল।

    প্রধান বিচারপতি: আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। হাই কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চলছে।

    সন্দীপের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন: এক জন অভিযুক্ত হিসাবে আপনার অবস্থানের কী গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে?

    সন্দীপের আইনজীবী: আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে আমার মক্কেলের কোনও সম্পর্ক নেই। শুধু দুর্নীতির মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তা হলে জনস্বার্থ মামলায় কেন তাঁর নাম এল?

    সন্দীপের আইনজীবী: সিবিআই যে তদন্ত করছে, আমার মক্কেল তার বিরোধী নন। কিন্তু হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, আমার মক্কেল দুর্নীতি চক্রে জড়িত। তা সত্য নয়। এই মন্তব্য ক্ষতিকারক।

    প্রধান বিচারপতি: এটা হাই কোর্টের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ। তদন্ত চলছে। আমরা এ বিষয়ে সিবিআইয়ের কাছেও তথ্য চেয়েছি।

    সন্দীপের আইনজীবী: আমিও চাই সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। হাসপাতালের ‘বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট’ বা জৈব বর্জ্য নিয়ে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক।

    প্রধান বিচারপতি: এটা কি একজন অভিযুক্ত বলতে পারেন?

    সন্দীপের বিরুদ্ধে হাসপাতালের জৈব বর্জ্য নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। আদালতে তাঁর প্রসঙ্গও তোলেন সন্দীপের আইনজীবী। তখন প্রধান বিচারপতি জানান, আখতারকেও এখনও আদালত ক্লিটচিট দেয়নি। তবে সন্দীপ যে আবেদন নিয়ে শীর্ষ আদালতে গিয়েছেন, তার গ্রহণযোগ্যতাই নেই। এর পর মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)