শুক্রবার সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেই বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়ে দিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। ওই সময়ের মধ্যে সাড়া না মিললে মঙ্গলবার হাসপাতালে হাসপাতালে সর্বাত্মক ধর্মঘট হবে। সেই ধর্মঘট পালন করবেন সিনিয়র এবং জুনিয়র ডাক্তারেরা। ওই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই অনশনমঞ্চে গেলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকেরা। মুখ্যসচিবের সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীও। রয়েছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, ধর্মতলার মঞ্চে গিয়ে অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি, আন্দোলনকারীদের দাবিদাওয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যসচিবকে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে। ফোনে কথাও বলিয়েছেন অনশনকারীদের সঙ্গে। প্রশ্ন, ফোনের অপর প্রান্তে কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন? মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই অনশনকারীদের কথা বলালেন মুখ্যসচিব? সরকারি ভাবে এ প্রশ্নের জবাব এখনও মেলেনি।
এর আগেও মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন আন্দোলনকারীরা। পুজোর আগে সেই বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু তা ‘নিষ্ফলা’ হয়েছে বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের।