• দুর্গাপুরে সেলের কারখানায় ধর্মঘটে ‘বাধা’ তৃণমূলের, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বচসা, এলাকায় পুলিশ
    আনন্দবাজার | ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • মোট ১৭ দফা দাবিতে সোমবার দেশ জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ইস্পাত কারখানার শ্রমিকদের পাঁচটি সংগঠন। ধর্মঘটের প্রভাব পড়ে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল, বার্নপুর এবং দুর্গাপুরে সেলের ইসকো কারখানায়। রবিবার সকাল থেকেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয় দুর্গাপুরে। সেখানে ধর্মঘটীদের সঙ্গে তৃণমূলের শ্রমিক নেতার বচসা শুরু হয়। মাঝে পরিস্থিতি এমন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।

    ইস্পাত শ্রমিকদের ১৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে স্থায়ী শ্রমিকদের ৩৯ মাসের বকেয়া, সম্মানজনক বোনাস ইত্যাদি। সিটু, আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি, বিএমএস এবং এইচএমএস, মোট পাঁচটি শ্রমিক সংগঠন ধর্মঘটের ডাক দেয়। রবিবার সকালে বার্নপুরের টানেল গেট সংলগ্ন ওভার ব্রিজে বিক্ষোভ দেখান ধর্মঘটে শামিল হওয়া শ্রমিকেরা। অন্য দিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার আর্জি জানান।

    উত্তেজনা তৈরি হয় দুর্গাপুরের ইসকো কারখানায়। সকাল থেকে ইস্পাত কারখানার মূল গেটগুলির সামনে ধর্মঘটের সমর্থনে পিকেটিং করছিলেন শ্রমিকদের একাংশ। ঠিক সেই সময় কারখানায় ঢুকছিলেন তৃণমূলের শ্রমিক নেতা জয়ন্ত রক্ষিত এবং তাঁর অনুগামীরা। অভিযোগ, আচমকা পুলিশের সামনেই বাইক থেকে নেমে জয়ন্ত ধর্মঘট সমর্থনকারীদের দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলেন, ধর্মঘট করা যাবে না। রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি। তার পরেই দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। নিমেষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ইস্পাত কারখানার মূল গেটের সামনে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

    জয়ন্তের বক্তব্য, “আমরা দাবিগুলির পক্ষে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, রাজ্যে কোনও কর্মদিবস নষ্ট করা যাবে না। কেউ যদি প্রতিবাদ জানাতে চায়, তবে মূল রাস্তা ছেড়ে করুক।” আন্দোলনকারীদের পাল্টা বক্তব্য, শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)