স্থানীয় সূত্রের খবর, মাত্র এক মাস আগেই মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার অর্জুনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোদাবন্দপুর গ্রামে এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সমীর শেখের। সমীরের নিজের বাড়িও ওই এলাকাতেই। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বিয়ের পর থেকে বেশির ভাগ সময় শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন বছর ২৫-এর যুবক। তবে স্ত্রীর সঙ্গে রোজকার অশান্তি হত তাঁর। তার মাঝেই ওই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়। সমীরের স্ত্রী বলেন, ‘‘গভীর রাতে আমাকে অচৈতন্য করে দেয় স্বামী। পরে জানলাম মায়ের ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে ও। ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। তাই টালি খুলে ঘরে ঢোকে।’’
শাশুড়ির অভিযোগ, জামাইয়ের মতলব ভাল ছিল না। তাঁর কথায়, ‘‘হঠাৎ একটা শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। চোখ খুলতেই দেখি জামাই দাঁড়িয়ে। চমকে যাই। আমার সন্দেহ, সোনার গয়নাগুলো চুরি করতেই ও আমার ঘরে ঢুকেছিল। চিৎকার করতেই পালিয়ে যায়। আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আত্মীয়ের দাবি, ‘‘শাশুড়ির উপর জামাইয়ের কুনজর ছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি হত। ঘরে ঢুকে শাশুড়িকে জড়িয়েও ধরেছিল ও। আমরা সবাই চাই, এমন লোকের যেন সাজা হয়।’’