এই উপলক্ষে গত ৮ নভেম্বর কলকাতার ‘উইসডম্ ট্রি’ ক্যাফেতে ‘ছায়ানট (কলকাতা)’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল ‘মোদের গরব, মোদের আশা/ আ-মরি বাংলা ভাষা’। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা ও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সোমঋতা মল্লিক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশেষ আলোচনামূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ইনস্টিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজ স্টাডিজ় অ্যান্ড রিসার্চ (আইএলএসআর), কলকাতার অধিকর্তা স্বাতী গুহ, স্কুল অফ লিঙ্গুইস্টিক্স স্টাডিজ়, ইনস্টিটিউট অফ লিঙ্গুইস্টিক্স স্টাডিজ় অ্যান্ড রিসার্চ (আইএলএসআর), কলকাতার অধ্যাপক অমিতাভ দাস, লিঙ্গুইস্টিক্স ইনস্টিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজ স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ (আইএলএসআর), কলকাতার রাজীব চক্রবর্তী। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন রয় চৌধুরী। বাংলা ভাষা কী ভাবে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পেল, সেই নিয়েই এই পর্বে সবিস্তার আলোচনা হয়। বক্তাদের তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনার পাশাপাশি দর্শকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই অনুষ্ঠানকে এক অন্য মাত্রা এনে দেয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান এবং ‘পুবের কলম’ পত্রিকার সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান। দীর্ঘদিন ‘বাংলা’ ভাষাকে কাজের মাধ্যম হিসেবে নির্বাচন করার জন্য চার জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মান জানায় ছায়ানট (কলকাতা)। তালিকায় ছিলেন লেখক ও প্রতিবিম্ব পত্রিকার সম্পাদক প্রশান্ত মাজী, বাচিক শিল্পী এবং রেডিয়ো ব্যক্তিত্ব রাজা দাস, ক্যুইজ় মাস্টার দেবাশীষ সরকার, শব্দবাজির প্রতিষ্ঠাতা রয় চৌধুরী।
বাংলা ভাষা নিয়ে বিভিন্ন কবির লেখা কবিতা আবৃত্তি করেন ছায়ানটের বাচিকশিল্পীরা। কবিতা পাঠ/আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন স্বপ্নিকা দাস রায়, স্বর্ণিকা দাস রায়, তিস্তা দে, অরণ্যস্পন্দন ভদ্র, সুকন্যা রায়, দেবযানী বিশ্বাস, সুজল দত্ত, ইন্দ্রাণী লাহিড়ী, দেবলীনা চৌধুরী, সৃজিতা ঘোষ, সোনালী সাহা চৌধুরী, অভিদীপ্তা পাল, সোহালিয়া সিংহ, শ্রীকান্ত গোস্বামী, অনিন্দিতা ঘোষ এবং মৌমিতা ঘোষ। বিশেষ আকর্ষণ ছিল বাংলা শব্দ নিয়ে মজার খেলা ‘শব্দবাজি’। অনুষ্ঠান শেষে প্রশান্ত মাজী সম্পাদিত ‘প্রতিবিম্ব’ পত্রিকার ৫০ বছর উপলক্ষে নির্মিত অরিন্দম সাহা সর্দার পরিচালিত ‘একটি তরবারির রূপকথা’ নামে এক স্বল্পদৈর্ঘ্যের কথাচিত্র প্রদর্শিত হয়।